গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন যুদ্ধের পরিস্থিতি। যে কোনও মুহূর্তেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। যদিও সেই যুদ্ধ কোনও দেশের নাগরিকই চায় না। তবে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী যে ১০টি দেশের সেনাবাহিনী রয়েছে, তাদের সামরিক সক্ষমতা থেকে আর্থিক পরিস্থিতি, লজিস্টিক সাপোর্ট, মানব সম্পদ একেবারে শক্তিশালী। মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি হয়ে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বের একাধিক জায়গায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই সমস্ত দেশগুলি উন্নত মানের অস্ত্র কিনছে। আরও শক্তিশালী সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে তারা। আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরব, বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ১০টি সেনাবাহিনী নিয়ে।
তালিকা অনুযায়ী দশ নম্বর স্থানে রয়েছে ইতালি। ইতালির পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.১৮৬৩। এই দেশ ইউরোপীয় প্রতিরক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশটির রয়েছে, আধুনিক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী রয়েছে। রয়েছে উন্নত পরিমাণে বিমান বাহিনী।
নবম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। আগে পাকিস্তান সপ্তম স্থানে ছিল। তা থেকে নেমে এখন নবম স্থানে রয়েছে দেশটি। যার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর রয়েছে ০.১৭১১। আর্থিক অবস্থার অবনতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা সামরিক দুর্নীতির কারণ এটি। অবশ্য, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাতে উন্নত মানের একটি ট্যাঙ্ক ও আধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহণে সক্ষম পাকিস্তান। যে কারণে মোটামুটি নিজেদের তালিকায় ধরে রাখতে পেরেছে দেশটি।
অষ্টম স্থানে রয়েছে তুরস্ক। এর আঘে তুরস্ক একাদশ স্থানে ছিল। সেখান থেকে অষ্টম স্থানে উন্নীত করেছে। যার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.১৬১৯৭। এটি মুসলিমের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসাবে স্বীকৃত রয়েছে। পাশাপাশি সামরিক দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী।
সপ্তম স্থানে জাপান। এই বছর জাপান অষ্টম স্থান থেকে সপ্তম স্থানে পৌঁছেছে। যার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.১৬০০০। জাপানের সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ট উন্নত।
ষষ্ট স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এই বছর যার পাওযার ইনডেক্স স্কোর ০.১৪৪। এর প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আর্থিক স্থীতিশীলতা ও পারমানবির প্রতিরক্ষা ক্ষমতার কারণে এটি এখনও প্রভাবশালী। যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম অত্যন্ত আধুনিক। আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ, আধুনিক বিমান রয়েছে দেশটির। নিরাপত্তা খাতে দেশটির অবদান অনস্বীকার্য।
পঞ্চম স্থান দক্ষিণ কোরিয়া। এই বছর সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.১৪১১৬। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত তাদের সামরিক বাহিনী।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের পাওয়ার ইনডেস্ক স্কোর ০.১২৩। চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য ভারত ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করেছে। ভারতের সামরিক বাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। এছাড়াও দেশের ক্ষেপণাস্ত্র ট্যাঙ্ক, মিসাইল, সাব মেরিন, অত্যাধুনিক বিমান, যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। ভারত আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিকরণে অবিচল। ভারত রাশিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি পারমাণিক শক্তি হিসাবে সামরিক সক্ষমতা সুরক্ষিত রাখছে। দেশটি তার প্রতিরক্ষা বাজের ব্যাপক হারে বাড়িয়ে চলেছে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। চীনের পাওযার ইনডেক্স স্কোর ০.৭৬। নিজস্ব প্রযুক্তি এবং অস্ত্র তৈরিতে শক্তিশালী। পাশাপাশি লামরিক দিকে থেকও যথেষ্ট আধুনিক।
দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। যার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.০৭২। এটি বিশাল পারমাণবিক সক্ষমতা এবং শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও উন্নত। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, মিসাইল, যুদ্ধ বিমান এবং সাব মেরিন রয়েছে। প্রতিকরক্ষা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট শক্তিশালী হিসাবে নিজের তৈরি করেছে।
প্রথম স্থানে আমেরিকা। যার পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর ০.০৬৯০০। এটি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সামরিক শক্তি। পাশাপাশি তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নত।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১০টি শক্তিশালী দেশের তালিকাতে নাম নেই বাংলাদেশের। তাদের এই দুর্বল সামরিক শক্তি নিয়ে ভারতের মতো একটি শক্তিশালী দেশকে কার্যত হুমকি দিচ্ছে, যা কার্যত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি হাস্যকর বিষয়বস্তু তুলে ধরেছে।
Discussion about this post