বাংলাদেশের সমন্বয়কদের উপর বিরক্ত ইউনূস। সেটা তার সম্প্রতি বক্তব্য শুনে স্পষ্ট হচ্ছে। হঠাৎই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তিনি যে সেনাপ্রধানের সুরেই সুর মেলাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট হচ্ছে। কারণ হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেশ কয়েকজন। তারমধ্যে তারা আন্দোলন করে যে সরকারকে উৎখাত করল সেই সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি এটাও উল্লেখ করেন, যদি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ছাত্র নেতাদের নিশানায় যেমন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান, ঠিক অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। কারণ ইউনূস কিছুদিন আগে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হবে না। কিছুদিন আগে সেনা নিবাসে একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছিল তাদের। আর সেই বৈঠকে তাদের আসন সমঝোতার কথা বলা হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করা হয়েছিল। সেই সমস্ত কিছু তুলে ধরা হয়।
এদিকে বাংলাদেশে নির্বাচন এখন বিশবাও চলে। কবে হবে তার আভাস পাওয়া জিও সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। মনে করা হচ্ছে, এবছরের শেষ এবং পরের বছরের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে। তবে যেভাবে সরকারের সমন্বয়ক এবং নতুন গঠিত হওয়া রাজনৈতিক দলের পধাধিকাররা যেভাবে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে, তাতে নির্বাচন আদেও হবে কিনা, সেটা দেখার। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যতদিন জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠতে সময় লাগবে ততদিন পর্যন্ত গড়িমসি করা হবে। অর্থাৎ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্দরে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ও ছাত্রনেতারা। এই জটিল পরিস্থিতি এখন বর্তমানে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।
Discussion about this post