বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের ভাবমূর্তি রক্ষা করায় এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বহুদিন ধরে তিনি ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষমেষ ধোপে টিকলো না। বড়সড় ধাক্কা দিল নিউ ইয়র্ক টাইমস। অথচ পূর্বে দেখা গিয়েছে, মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক এই গণমাধ্যমটি মহম্মদ ইউনূসের সম্পর্কে বেশ প্রশংসা করেছে। কিন্তু এবারে তারা আশঙ্কা করছে, শেখ হাসিনার আমলে নয়, ইউনূসের আমলে বেড়ে উঠছে সঙ্গী সংগঠনগুলি। এর সঙ্গে আর একটি কথা বলে রাখি, নিউ ইয়র্ক টাইমস সেটা বলে, যেটা মার্কিন সরকার বলতে চায়। কাজেই এই ধাক্কা যে অনেক বড়, সেটা বোঝা গেল, প্রেস সচিবের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ভুয়ো বলে দাবি করা থেকে। কিন্তু খোদ সরকার সমর্থক বিশ্লেষকরা মানছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটা রিপোর্ট ইউনূসের গায়ে কলঙ্ক লাগিয়ে দিল। কিন্তু কেন? চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সঙ্গে মহম্মদ ইউনূসের সম্পর্ক অনেক পুরনো। যখন হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল, তখন মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলা ছিল। তখন এই পত্রিকা তার পাশে ছিল। কিন্তু হঠাৎ এখন দেখা যাচ্ছে, এই পত্রিকা ইউনূসের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের ঘটনা তো রয়েছেই। পাশাপাশি জঙ্গি সংগঠনগুলি বাড়ছে। এই নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে তারা। যেটা এইবার ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য করবে মহম্মদ ইউনূসকে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদি এই ঘটনা হালকাভাবে নেন, তবে বিপদ আসন্ন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বিশ্ব দরবারে নেতিবাচক হিসাবে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশকে। শুধু তাই নয়, সিরিব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত। কিন্তু পরিস্থিতির বদল নেই। উদাসীন শেখার রাষ্ট্রপ্রধান। বলছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসতে পারে, যদি স্থায়ী সরকার গঠন করা যায়। কিন্তু নির্বাচনের উচ্চবাচ্য নেই বাংলাদেশের অন্দরে। বরং কিভাবে নির্বাচন আটকানো যায়, দেরি করানো যায়, তারই চেষ্টা চলছে। এমনকি অনেকে বলছেন, আসলে ইউনূস গদি ছাড়তে নারাজ। তারই চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশে রয়েছে ছাত্রনেতারা। তবে একটি বিষয়ে নজর রাখা উচিত দেশের রাজনৈতিক দলগুলির। তারা চাপ সৃষ্টি করলে নির্বাচন হতে বাধ্য। কিন্তু কতটা তারা সুর চড়াচ্ছে, সেটার উপরও খানিকটা নির্ভর করছে, বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এখন দেখার, মার্কিন সংবাদ পত্রের এহেন রিপোর্টের পর কি করেন নোবেল জয়ী।
Discussion about this post