বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করতে ভয়ানক নিদান। অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করেছে মোহম্মদ ইউনূস। ওই অভিযানে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার না করে এনকাউন্টার করে লাশ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশ কি ক্রমশ কট্টর মৌলবাদীদের হাতে চলে গেল? কারণ এই ধরনের ঘটনা দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখযোগ্যভাবে ২০০২ সালে খালেদা জিয়ার শাসনকালে অপারেশন ক্লিন হাট অভিযান শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের উৎখাত করতে। এইবার অন্তবর্তী সরকারের শাসসকালে মহুমুদ ইউনূসের জমানায় একই অভিযান শুরু হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই কথা ঘোষণা করেন নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকা শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে। এই কথা ঘোষণা হতেই অবাক হয়ে যান বৈঠকে থাকা শীর্ষ আধিকারিকরা।
এমনিতেই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চরম নৈরাজ্য চলছে। গত বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে কুড়িয়ে দেয় মদতপুষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এবং হিজবুত তাহেরির সদস্যরা। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি ২০০ র বেশি আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গোটা দেশ জুড়ে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ দলের চিহ্ন মুছে ফেলা তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর সমস্ত স্মৃতি নিশ্চিহ্ন করে ফেলার কার্যকলাপ শুরু করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী গুলির মদতপুষ্ট ছাত্র নেতারা। তারা শুধু ইন্ধন যোগাচ্ছে তাই নয়, অর্থ যোগাচ্ছে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে।
দেশে কট্টর মৌলবাদীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নাহলে ইতিহাসকে অস্বীকার করতে, মুছে ফেলতে মরিয়া হয়ে পড়ে আজকের প্রজন্ম? এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছে, ওই চত্বরে পুলিশ দেখা যায়নি ঠিকই কিন্তু সেনাবাহিনী ছিল। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তাদেরকে ফিরে যেটা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে। এমন ভয়ানক খবর সামনে আসতেই, একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোপন সূত্রে খবর আসছে, বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান নাকি হাসিনা পন্থী বলে পরিচিত। আর এই কারণেই তাকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে। সেনাবাহিনীর মধ্যেই একাধিক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেই ভাবেই কাজ চালানো হচ্ছে।
যদিও এর আগে বাংলাদেশ বহুবার সেনা বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে। আবারো কি সেনা বিদ্রোহের বীজ বপন করা হচ্ছে? যদি তাই ঘটে, তবে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে পড়বে। তা বলাই বাহুল্য
Discussion about this post