পাক বাহিনীর ড্রোন হামলায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছিল তালেবান প্রশাসনের। পাল্টা পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে হামলা চালায় আফগান সরকার। এবার উল্টো সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগান জঙ্গি সংগঠন তালিবান। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমে বেড়েই চলেছে পাকিস্তান আফগানিস্তান সীমান্তে।
পাক বাহিনীর ড্রোন হামলায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছিল তালেবান প্রশাসনের। পাল্টা পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে হামলা চালায় আফগান সরকার। এবার উল্টো সন্ত্রাসে মদত দেয়ার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগান জঙ্গি সংগঠন তালিবান। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমে বেড়েই চলেছে পাকিস্তান আফগানিস্তান সীমান্তে।
আর এই বেড়ে চলা যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে কার্যত চাপে পরছে বাংলাদেশ। কারণ অন্তরবর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে শত্রু ভাবতে শুরু করেছে।এবং পাকিস্তানকে বন্ধু ভাবছে। তাই যখনই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রসঙ্গ এসেছে বাংলাদেশ ভেবেছে তারা পূর্ণ সহায়তা পাবে বন্ধু পাকিস্তানের থেকে। কিন্তু কার্যত দেউলিয়া হওয়া দেশ পাকিস্তানের ওপর এতটা ভরসা করার কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা কুটনৈতিক মহল।
এর মাঝেই এল তালিবানি হামলার প্রসঙ্গ। গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিয়ে রীতিমতো হামলা চালিয়েছে আফগান জঙ্গি সংগঠন।
বর্ষশেষে তালিবান-শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্মুখসমরে জড়িয়েছে পাকিস্তান। দু’পক্ষই সীমান্তে বাড়াচ্ছে সৈন্যসংখ্যা। আক্রমণ এবং প্রতি-আক্রমণে রক্তাক্ত হচ্ছে সেখানকার মাটি। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে দুই দেশ পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।
তবে পাকিস্তান দাবি করে, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) আস্থানা লক্ষ্য করে হামলা করেছে। সেইদিনের পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় চলছে।
অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়ার পর সন্ত্রাসীরা আফগান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় এবং পাকিস্তানি চৌকিতে হামলা ও গুলি চালায়। আফগান বাহিনী এবং সন্ত্রাসীরা ঘোজগরি, মাথা সংগর, কোত রাঘা এবং তারি মেংগাল এলাকার বিভিন্ন পোস্টে দিনভর হামলা চালায়।
এসব হামলার জবাবে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে আফগান পক্ষের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পাকিস্তানের।
গত শতাব্দীতে তালিবানের জন্মের নেপথ্যে প্রত্যক্ষ মদত ছিল ইসলামাবাদের। পাক ফৌজ এবং সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের থেকে প্রশিক্ষণ এবং হাতিয়ার পায় আফগানিস্তানের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। কিন্তু সময়ের ফেরে কেন সেই জন্মদাতাকেই ‘খুন’ করতে চাইছে তালিবান? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে।
পাক প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার উপর ইসলামাবাদের অধিকার অস্বীকার করেছে তালিবান। অর্থাৎ বকলমে ওই প্রদেশকে স্বাধীন দেশ বা আফগানিস্তানে মিশিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন হিন্দুকুশের কোলের দেশটির বর্তমান শাসকগোষ্ঠী।
Discussion about this post