রাজনীতি হল সম্ভাবনার খেলা। আজ যেটার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে, আগামীকাল সেটা নাও থাকতে পারে। অর্থাৎ ঘটনা, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সমস্ত কিছু। ঠিক তেমনভাবে, বিমসটেকের সাইডলাইনে মোহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে না বলে খবর ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দুজনের বৈঠক নাকি হতেও পারে। অবশ্য এটা নিয়ে প্রবলভাবে আশাবাদী বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিন। বাংলাদেশের বহু গণমাধ্যম খবর করেছে, ভারতের তরফে একটা গ্রিন সিগন্যাল নাকি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে যদি সত্যিই এই বৈঠক হয়, দুই দেশের দূরত্ব কি ঘুচবে? কি বার্তা দেবেন মোদী? ভারতের কাছে কি অনুরোধ করবেন মহম্মদ ইউনূস? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
তাইল্যান্ডের রাজধানীতে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসীম উদ্দিনও সেখানে রয়েছেন। সেখান থেকেই এই খবর জানান জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, তাদের তরফ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়। এবং অন্যদিকে বাংলাদেশে বাড়তে শুরু করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা। যা নিয়ে ভারত সরব হয়। এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যদিও বাংলাদেশের তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত কর্ণপাত করেনি। এমনকি শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারও কোনও উত্তর দেয়নি ভারত। শুধু তাই নয়, মহম্মদ ইউনূস চীন সফর করেছেন। সফরের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাতেও ভারত কোনও সদ্বত্তর দেয়নি। বাংলাদেশ বুঝে গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে মানে না ভারত। সেই কারণেই কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার অনুরোধ গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। এইবার বিমসটেকের থেকে সম্মেলনে ইউনূসের সঙ্গে মোদীর বৈঠকের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হল বাংলাদেশের তরফে। এখন দেখার, আদেও মুখোমুখি হন কিনা নরেন্দ্র মোদি এবং মহম্মদ ইউনূস।
Discussion about this post