গণঅভ্যুত্থান এর জুড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন পলাতক, কেউ আত্মগোপনে কেউ জেলে কেউবা বিদেশ চলে গিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। এবার শেখ হাসিনা হঠাৎ করে কেন তিনি ভারতে আশ্রয় নিলেন? তিনি স্বেচ্ছায় গেছিলেন নাকি তাকে বাধ্য করা হয়েছিল ? সর্বোপরি কি ঘটেছিল ঠিক সেইদিন, সেই নিয়ে এবার বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। এমনকি তিনি বলেছেন তাদের দুই বোনকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে কারণ পরবর্তীতে ও তাদের নিয়ে কোনো রকম চক্রান্ত করে নতুন কিছু ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। এছাড়া এর আগেও বেশ কয়েকবার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য,৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর নৌবাহিনীর ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানও গণভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি নিরাপদ নন, জনস্রোত আসতে চলেছে গণভবনের দিকে। দেশ ছাড়তে হবে হাসিনকে। তাই বলা হয়েছিল মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তাকে তাকে গণভবন ছাড়তে হবে নিরাপত্তার স্বার্থে ই। কিন্তু জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা সেই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়তে রাজি হননি তিনি চেয়েছিলেন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন। কিন্তু যখন বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রধানদের কথায় রাজি হচ্ছিল না শেখ হাসিনা, তখন তার বোন রেহানাকে এবং তার পুত্র জয় কে ফোন করা হয়। তাদের সঙ্গে কথা হওয়ার পর তিনি রাজি হয় এবং দেশ ত্যাগ করেন। এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে হাসিনা জানিয়েছেন তিনি যে বেচে ফিরে আসতে পারবেন সেটা তিনি ভাবতে পারেননি। এখান থেকে স্পষ্ট যে তাকে কেউ হত্যা করবার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু কে, বা কারা? সেটা তিনি বলেননি।
শোনা যাচ্ছে, গণভবনে যখন সেনাবাহিনী পুলিশ বাহিনী এবং আরও বিভিন্ন আধিকারিকদের প্রধানরা প্রবেশ করছিলেন তখন সেই সুযোগে বেশ কিছু বরখাস্ত সেনা কর্তারাও গণভবনে প্রবেশ করেন। সেনাবাহিনীর পোশাকেই তারা সেখানে প্রবেশ করেছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের কাছে স্নাইপার গান ছিল, যা দিয়ে তারা টার্গেট করেছিল শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা কে এবং তাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনোভাবে হয়তো তারা তাদের কার্যসিদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
আর এই ধরনের বেশ কিছু সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের আঁচ পেই হয়তো সেনাবাহিনী প্রধান প্রবেশপ্রধান শেখ হাসিনাকে দ্রুত গণভবন ত্যাগ করার উপদেশ দিয়েছিলেন। কারণ সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল সেই সমস্ত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আর তারা যদি স্নাইপার গান দিয়ে শেখ হাসিনা এবং তার বোনকে টার্গেট করে সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর তাদেরকে রক্ষা করাও অসম্ভব হয়ে যেত। আর সেই নিশানা হয়তো শেখ হাসিনাও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, যার ফলে তিনি গণভবন ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তৎক্ষণাৎ ভবন ত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন।
Discussion about this post