ভারত সরকারের নতুন পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়েছে ইউনুসের। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের মসনদে ছিলেন সেই সময় তৎকালীন সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে একাধিক চ্যুক্তি হয়েছিল। সেই চ্যুক্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ভারত বাংলাদেশ যৌথ ভাবে রেলপথকে উন্নত করবে। মূলত ছয়টি নির্দিষ্ট প্রকল্প নেওয়া হয়েচিল, যেখানে ভারত প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, নরেন্দ্র মোদী এই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। এবার জানাবো কী কী প্রকল্পের কথা হয়েছিল দিনাথপুরের পার্বত্যপুর থেকে রংপুরের কাওলিয়া রেলপথ যুক্ত হবে,এছাড়া খুলনা – দর্শনা রেলপথ, বগুড়া- সিরাজগঞ্জ রেলপথ, ঢাকা- টঙ্গী ডাবল লাইনের কাজ এবং কুলাউড়া – শাহবাজপুর রেলপথ প্রকল্পের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জো বাইডেন মার্কিন মসনদে থাকাকালীন, তখনই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার পতন হয়। গণ অভ্যুত্থানের হাত ধরে বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয় মহম্মদ ইউনুসের অধীনে। অন্তরবর্তী সরকার এর শাসনের শুরু থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির সহ নানান জায়গায় ভাঙচুর,ও সংঘর্ষের নানা খবর আসে। আসে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির খবর। এই হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার হতেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম কোর্টে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে এক আইনজীবী খুনের ঘটনা ঘটে। এদিকে, চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই চিন্ময়কৃষ্ণকে জেল থেকে মুক্তি দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আর্জি জানালেন আমেরিকা নিবাসী বাংলাদেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধরা। এছাড়াও তাঁরা চাইছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
উল্লেখ্য, এই মর্মে তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি মেমোরেন্ডাম দেন। তাঁরা চাইছেন, ‘কম্প্রিহেনসিভ মাইনরিটি প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ তৈরি হোক। তার আওতায় ঘরোয়া সংগঠন ও সংখ্যালঘুদের মান্যতা দেওয়া হোক, বলে তাঁদের দাবি। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে তাঁরা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও ওই মেমোরেন্ডামে তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়। সংগঠনের আশা, এতে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত হিংসা, নিপীড়ন বন্ধ হতে পারে। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচক মণ্ডলী, ধর্মীয় চর্চা, সাংস্কৃতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে ঘৃণ্য অপরাধ ও ঘৃণা ভাষণের বিরুদ্ধে আইন তৈরির দাবি রয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের জেরে সেই দিনই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গদিচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে নতুন সরকার আসার পর থেকে নানা রাজনৈতিক সমীকরণের ছবি দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে প্রত্যর্পণ করতে। এদিকে, বাংলাদেশে ‘আওয়ামি লিগ আবার ফিরবে’ এমন একটি বার্তা উঠে এসেছে। এই সমস্ত খবরের মাঝেই বাংলাদেশের খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধরা ট্রাম্পের দ্বারস্থ হওয়ায় ঢাকায় ইউনুস সরকারের ওপর কতটা চাপ বাড়ল, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে।
Discussion about this post