গোটা বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যেতে বঙ্গভবনে তার সঙ্গে বিভিন্ন নেতৃত্বের বৈঠকে এমন কথায় বলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ সেনাবাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার কথা কেন বললেন রাষ্ট্রপতি? দেশের রাষ্ট্রপতি যদি এই ধরনের কথা বলেন, তার মানে গোটা দেশে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। কিন্তু কেন? আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যেমন পুলিশ দায়িত্ব পালন করে, তেমন গোটা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব। তাহলে কেন তারা নিষ্ক্রিয়? তবে কি উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশে এমন নীরবতা সেনাপ্রধান এবং তার বাহিনীর?
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যত দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একদিকে কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধু তাই নয়, তারাই গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে, এমনটাই আশঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের ভয়ে বা সাধারণ মানুষের মধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য যেন কোন ভাবে প্রভাব না পড়ে সেই কারণেই তড়িঘড়ি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে দিয়ে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আগেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবারে ভয়ংকর যে বিষয়টি হল, রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা চলছে। যারা বাড়ি ভাঙল বা জ্বালিয়ে দিল, তারা আগে থেকেই সোশ্যাল মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিল। তার অন্তত কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, আগে থেকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পরও কেন প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হল না?
এমনকি আশেপাশে কোনও পুলিসকে দেখা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, সেনাবাহিনী ছিল, তবে তারা কোনও কাজ করতে পারেনি। উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
খবর আসছে, সেনাবাহিনীর মধ্যে গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সেখানে বেছে বেছে হাসিনা পন্থীদের কোন ঠাসা করা হচ্ছে। ভয়ংকর খবর এটা, যে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। তার মধ্যে, বাংলাদেশের একের পর এক নৈরাজ্যের ঘটনা, যুক্তি দিয়ে বোঝানো হচ্ছে। এমনকি কখনো কখনো সরকারের পক্ষ থেকে নানা যুক্তি আসছে।
ওয়াকিবহুল মহলের একটা বড় অংশ বলছে, দেশ চালানোর জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্থায়ী সরকার গঠন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাহলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা যেভাবে অবনতি হচ্ছে, দাদা বিন হয়ে পড়েছে কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা, তাতে বাংলাদেশ রক্ষা করতে একটাই পথ নতুন সরকারের। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।
Discussion about this post