ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন। আমেরিকায় তৃতীয় লিঙ্গ বলে আর কিছু থাকবে না। শপথ গ্রহণের পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা। যা অবাক করে দিয়েছে অনেককে। আমেরিকার সরকারি খাতায় লিঙ্গ দুটি। পুরুষ এবং স্ত্রী। তৃতীয় লিঙ্গ বলে আর কিছু নেই। সোমবার শপথ গ্রহণ করেই তার জমানার নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় তার আদেশ জারি করা হবে। মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ভিসাতেও দুটি লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে। নির্দেশ অনুসারে, শারীরিক গঠনগত দিক থেকে যে মানুষ যে লিঙ্গের সেটি উল্লেখ থাকবে সরকারি নীতিতে। কোন পুরুষ নিজেকে মহিলা ভাবতেই পারেন, কোন মহিলা নিজেকে পুরুষ ভাবতেই পারেন। সরকারি নিজের ক্ষেত্রে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
তবে জো বাইডেনের আমলে, রূপান্তর কামিদের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য নীতি চালু করা ছিল। ক্ষমতায় আসার চার দিনের মধ্যেই ওভাল অফিসে এই নীতি চালু করেছিলেন বাইডেন। তবে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই জো বাইডেনের সেই নীতি উপড়ে ফেলতে উদ্যোগী হলেন। এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে আমেরিকা। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। সে সংগঠনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেন না, এই দেশেই তারা বসবাস করবেন। এবং নিজেদের অধিকার নিয়েই তারা কাজ করে লড়াই করে বাঁচবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম ক্ষমতায় আসার পরই নিজের খেল শুরু করে দিয়েছেন। বাইডেনের নীতি ফেলে দিয়ে, ট্রাম্পের নীতি আমেরিকায় বহাল রাখতে চাইছেন। তবে শপথ গ্রহণ করতেই ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্ত, প্রশাসনকে বিপদে ফেলবে না তো? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। ট্রাম্প আর কি কি নীতি বদল করতে চলেছেন, সেই নিয়েও নানা মাধ্যমে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এতো গেল, ট্রাম্পের নিজের দেশের নীতির বদল নিয়ে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, কূটনৈতিক সম্পর্ক রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রেও সম্পর্ক কোন সমীকরণে দাঁড়বে, সেই নিয়ে বিস্তার আলোচনা চলছে। নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ভালো বন্ধু। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তেমনটাই পরিচিত। তবে বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। এর মধ্য দিয়েও প্রশ্ন হতে শুরু করেছিল, তবে কি ট্রাম এর মধ্যে দিয়ে বিশেষ কোনো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তবে অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের জমানায় ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। তবে তা কতটা সত্যি হয়, একমাত্র উত্তর দেবে সময়।
Discussion about this post