ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমেরিকার ক্ষমতায় বসতেই জো বাইডেনের বেশ কিছু নির্বাহী কাজ বাতিল করে দিয়েছেন। যা এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চর্চার বিষয়। অনেকে বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প বোঝাতে চাইছেন তার নীতি বাইডেন প্রশাসনের বিপরীতে যাবে। ইতিমধ্যেই লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন ট্রাম্প। আমেরিকার সরকারি খাতায় এখন দুটি লিঙ্গ। পুরুষ এবং মহিলা। তৃতীয় লিঙ্গের কোন জায়গা থাকবে না। এমনটাই জানানো হয়েছে। জানি দ্রুত পদক্ষেপ করতে চলেছেন ট্রাম্প। এছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করবেন ট্রাম্প।
বেশ কিছু নির্দেশনায় সই করেন ট্রাম্প। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা, ক্যাপিটলে দাঙ্গার দায় অভিযুক্ত দেড় হাজার সমর্থকের মুক্তি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে আসার মতো সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ ট্রাম্প প্রশাসন দ্রুত বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, তা আগে থেকেই আঁচ করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি একাধিক দেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কে নীতি কি হবে তারও সব কষা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ঠিক যে সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন, সে সময়টা এখন বিশ্বের দরবারে যুদ্ধের আবহ। বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসাবে আমেরিকার কাছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সন্তর্পণে পা ফেলতে হবে ট্রাম্পকে। যাতে কূটনৈতিক চাল পাশাপাশি সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকে। এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি। যা গত বছরের আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে। স্থায়ী সরকার নেই এখনো পর্যন্ত। কাজেই কোটা দেশকে আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ অন্তর্ভুক্তির সরকার। নির্বাচন নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাইনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। দ্রুত নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে থাকছে দেশের অভ্যন্তরের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এবার আমেরিকাকে চাপ সৃষ্টি করবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর, তা পরিষ্কার হয়েছে অনেক আগেই। তার ওপর বাংলাদেশ ভারতকে নিয়েছে বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে, তাও ভাল চোখে দেখছে না অনেকে। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয়, পাকিস্তানের মতো একটি দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ। যে পাকিস্তানের জঙ্গিদের আঁকড়া বলা হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে ভারতে ঢোকার। কিন্তু ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহল। কঠোর পর দিয়ে ভেদ করে জঙ্গিরা ঢুকতে না পারায়, ঘুর পথে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর সরাসরি মদত দিচ্ছে মোহাম্মদ ইউনুস তাও স্পষ্ট। তবে সীমান্ত ভেদ করে ভারতে প্রবেশ করা অত্যন্ত দুষ্কর। কড়াকড়ি করা হয়েছে সীমান্ত। প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছে বিএসএফ। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। তার মধ্যেও অনুপ্রবেশ ঢোকার চেষ্টা। এখন দেখার, দুই দেশের মিত্রতার সম্পর্ক আবার আগের জায়গায় কবে ফিরে আসে।
Discussion about this post