বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া। মাঝখানে ৬ দিন। উদ্দ্যেশ্য কি? কবে ফিরবেন? আদেও ফিরবেন তো? আসলে কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে নিয়ে। মধ্য আফ্রিকার পর তিনি রাশিয়া সফরে গিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে ১২ই এপ্রিল ফিরবেন তিনি। অনেকে বলছেন, ডোভালের মাস্টারপ্ল্যানই কি রাশিয়া সফরে সেনাপ্রধান। এদিকে শেখ হাসিনা ফের দেশে ফেরার বার্তা দিচ্ছে। সেনাপ্রধানের বিদেশ সফর সম্পর্কে কি তথ্য রয়েছে হাসিনার কাছে? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে।
সেনাপ্রধানের রাশিয়া সফর ঘিরে বেশি করে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। তার কারণ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বেছে বেছে যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের সঙ্গে আদতে ভারতের খুব সদ্ভাব। তবে কি সত্যিই এর সঙ্গে ভারতের কোনও ইন্ধন রয়েছে? ভারতই এর পিছনে রয়েছে? নাকি যেমন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পিছনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা ব্ল্যাক ওয়াটার গ্রুপ রয়েছে? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন।
বিশেষত, সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ ঘিরে হাসনাতের একটি পোস্টের পর তোলপাড় হয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি। এরপরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান ঢাকায় সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে পরপর একাধিক বৈঠক করেন। তারপরই বোঝা যায় ,বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্দরে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিচ্ছেন। সক্রিয় করে তুলছেন সেনাবাহিকে। কারণ এই অভ্যুত্থানের আশঙ্কার মধ্যেই সেনাপ্রধান নিশ্চিন্তভাবে বিদেশ সফরে গিয়েছেন।
বাংলাদেশের সেনার তরফেই জানানো হয়েছে, রাশিয়া সফরে গিয়েছেন সেদেশের সেনাপ্রধান। রাশিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া যাবেন তিনি। খবর সূত্রের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সামরিক অভ্যুত্থান নতুন কোনও বিষয় নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার অভ্যুত্থান হয়েছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি সেনাপ্রধানের মধ্য আফ্রিকার সফরের আগেও সামরিক অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ফলে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের রাশিয়া সফর অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের বিপরীতে অবস্থানের পরিকল্পনা নতুন জল্পনার জন্ম দিচ্ছে পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক অন্দরে।
Discussion about this post