সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান ও মোহাম্মদ ইউনুস গভীর রাতে বৈঠকে বসেছিলেন। কি নিয়ে কথা হল দুজনের মধ্যে? তবে কি বড়সড়ো কোনও ঘটনা ঘটতে চলেছে বাংলাদেশে? এমন নানা বিষয় উঠে আসছে।
আসলে বাংলাদেশের অন্দরে চলছে একাধিক জটিলতা। আসলে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া এই মুহুর্তের পরিস্থিতির মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, তিনি ফের বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হতে চাইছেন। আসলে ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দিতে তার বিরুদ্ধে চলছে একাধিক ষড়যন্ত্র। তার সঙ্গে রয়েছেন ফয়জুর রহমান। ইউনুস এবং সেনাপ্রধান যে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ কিছুদিন আগে খবর এসেছিল, সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া কিছু সেনা কর্তাকে এবং সদস্যকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। সেনাপ্রধান সেই বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকলেও সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটি প্রকাশ্যে আসতে দেরি হয়। এমনকি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সরকারি সফরে আফ্রিকা গেলে তাকে নিকেশ করার পরিকল্পনা ছেঁকে ফেলা হয়। একটা সেনা বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও ওয়াকার উজ জামান সেটা জানতে পেরে তিনি ঢাকা বিমান বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেননি।
এরপর সেনাপ্রধান কঠোর হয়ে সেনাবাহিনীকে বেশ কিছু বার্তা দেন। এমন কি কিছু সেনা কর্তা এবং সদস্যকে নজর বন্দী করেন সেনাপ্রধান। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং দেশের অরাজক পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সিদ্ধ হস্তে ওয়াকার উজ জামান।
আর মধ্যে গোপন সূত্রে খবর, ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হয় সেনাপ্রধানের। কি কথা হল দুজনের মধ্যে? পরিস্থিতি উত্তপ্ত কেনই বা হল? তবে কি এবার সেনাপ্রধান বাংলাদেশে সেনা নামাতে চলেছেন? অন্তত বাংলাদেশকে স্থিতিশীল জায়গায় আনতে সেটা করতেও পারেন তিনি। আসলে নির্বাচন নিয়ে একটু ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। সেটা বাড়তে বাড়তে এমন সিদ্ধান্ত যে কোনও মুহূর্তে নিয়ে ফেলবেন ওয়াকার উজ জামান, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কারণ বাংলাদেশে ইউনূসের জমানায় যে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো নজীর বিহীন।কারণ এই প্রথম বাংলাদেশে দেখা গেল, ভাষা দিবসের দিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি একসঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন না। বরং ইউনুস কিছুটা দেরি করে পৌঁছলেন। সেনা প্রধানের এটা বুঝতে বাকি নেই যে, ইউনুস কাউকে মানেন না।
তবে সেনাবাহিনী আগের তুলনাই অনেকতা বেশি সক্রিয় হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করছে অপরাধমূলক কাজ। আরও কিছুদিন সেনাপ্রধান কঠোর হাতে যদি নিয়ন্ত্রণ করেন পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন করান, তবে দেশ আয়ত্তে ফিরবে। বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
Discussion about this post