আজই ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তার আগেই ট্রাম্পের হুশিয়ারি মৌলবাদীদের। তবে কি চাপ বাড়তে শুরু করেছে ইউনূসের? তার কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর ইউনূসের অবস্থা খারাপ হতে চলেছে, বলছেন অনেকে।
পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশ এখনও রাষ্ট্রনেতাহীন। অস্থায়ীভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে ঠিকই তবে দেশ চালানোর জন্য চায় স্থায়ী সরকার। অবশ্যই তা হতে হবে সাধারণ মানুষের নির্বাচিত। কিন্তু পাঁচ মাস কেটে যাওয়ার পরও এখনও বাংলাদেশ পায়নি তাদের রাষ্ট্র নেতাকে। এদিকে বাংলাদেশের অন্দরে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বিশৃঙ্খলা। যা নিয়ে শুধুমাত্র ক্ষুব্ধ ভারতই নয়, আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
৫ই অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তদারকি সরকার গঠন করে তার মাথায় বসানো হয় নোবেল জয়ী মোহাম্মদ ইউনূসকে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে সমস্যা কমেনি, বরং তা দিনে দিনে বাড়ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। হাসিনা সরকারের পতনের পর এই দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে পৌঁছছে। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর তা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। বেড়েছে ভারত বিদ্বেষ, ভারতকে আক্রমণ, এমনকি প্রকাশ্যে চলছে হুমকি। সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ভারত ভালো চোখে দেখেনি। সে কারণে ভারতের তরফ থেকে একাধিকবার অন্তর্বর্তী সরকারকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ তো হয়নি বরং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন উত্তরোত্তর বেড়েছে।
সরকার গঠন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের ভিতরে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকি বিএনপি’র মত বাংলাদেশের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলও ইউনূসের বিপক্ষে কথা বলা শুরু করেছে।
এইবার জানা যাচ্ছে, মোহাম্মদ ইউনূস চাইছেন ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলতে। ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বৈঠক হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভন এবং ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এর একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন সম্ভাব্য বিষয়ক। এমনকি সেই বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভন বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রত্যেককেই চায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হোক। অর্থাৎ এখানে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্র ভারত এবং আরও শক্তিশালী দেশ গুলি চাইছে যত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে একটি স্থায়ী সরকার আসুক, তা সাধারণ মানুষের নির্বাচনে। এরপর কি হতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর ! এখন সেদিকেই নজর রয়েছে প্রত্যেকের।
Discussion about this post