হাসিনার পতন হতেই ভারত বিরোধী জিগির উঠেছে বাংলাদেশে। বিরোধিতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, বাংলাদেশে ঘটে চলা ঘটনাগুলিকে ভারত মিথ্যে করে রঙ চড়িয়ে প্রচার করছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এমনটাই বলা হচ্ছিল। ভারত যতটা দেখাচ্ছে, তার শিকে ভাগ নাকি বাংলাদেশে ঘটছেই না। এবার সেই ধারণাতেই সিড়িমোহর দিয়ে দিল মোহাম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব সাফিকুল আলম।
তিনি বলছেন, ভারতের গণমাধ্যমের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নেতিবাচক হিসাবে উপস্থাপিত হচ্ছে। এর জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করছে ভারত। সেখানে ভারতের মিডিয়া জড়িত। শুধু তাই নয়, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান কে নিয়ে বিতর্কিত করা, এবং নোবেল জয়ী মোহম্মদ ইউনুসের ভাবমূর্তিকে নেতিবাচক করে তোলা সারা বিশ্বের সামনে। এটাই এখন মূলত ভারতীয় মিডিয়ার কাজ।
গত শনিবার প্রেসক্লাবে প্রেস সচিব সফিকুল আলম বলেন, গোটা দেশকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে কোনভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার আর ক্ষমতায় না আসে। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকার যাতে আর ক্ষমতায় না আসতে পারে, তার জন্যই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। আর এর দায়িত্বও সাধারণ মানুষকে নিতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যে প্রচার করে থাকে, তবে বাংলাদেশে ঘটে চলা ঘটনাগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিচ্ছে না কেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার? কারণ তারাও জানে, ভারতীয় গণমাধ্যম যা যা প্রচার করছে, তা একেবারে সঠিক। শুধু তাই নয়, যদি মিথ্যে হত, তাহলে আমেরিকার মত একটি শক্তিশালী দেশ সঠিক খবর বার করে ফেলত। কিন্তু সেটি না করে বরং ডোনাল্ড ট্রাম তার নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি এটাও বলেছেন, যদি তিনি ক্ষমতায় থাকতেন তবে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি হতে দিতেন না।
কাজেই ভারত বিদ্বেষী থেকে এই ধরনের মন্তব্য করছেন মোহাম্মদ ইউনুসের বাহিনী, তা কার্যত স্পষ্ট। অন্যদিকে অপপ্রচার করে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে জঙ্গি প্রধান প্রমাণ করতে ভারত মিলিয়ন ডলার খরচ করছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
কিন্তু এটা করে লাভ কি ভারতের? বাংলাদেশে কোন সমস্যা তৈরি হলে, ভারতের ক্ষতি হবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতি হবে আদতে ভারতেরই। তাহলে কিসের যুক্তি দিয়ে ভারতকে দোষারোপ করছে মোহাম্মদ ইউনূসের বাহিনী?
Discussion about this post