গরম থেকে বাঁচতে আইসক্রিম খান না এমন মানুষ খুব কমই আছে। গরম পড়লেই আমরা ঠাণ্ডা খাবার থেকে শুরু করে, মিষ্টি ফল, এবং আইস ক্রিম খাই। কিন্তু জানেন কি এর ফলেই আমরা অজান্তে নিজেদের শরীরের ক্ষতি করছি। গরমে আমরা আইস ক্রিম খাচ্ছি ঠাণ্ডা উপভোগ করার জন্য, কিন্তু তাতে আমাদের মন ঠাণ্ডা হলেও শরীরে কিন্তু ঠিক তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়। এতে আরও আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে একজন ক্যান্সার ডায়েটিশিয়ানের কথায়,” আপনি গরমে আর যাই খান, ভুল করেও আইসক্রিম খাবেন না। এটি আমাদের মুখে তাৎক্ষণিক ঠাণ্ডা আরাম দিলেও সেটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়।” তাই আইসক্রিম খাওয়ার পর আমাদের গরম লাগে বেশি।
শুধু আইসক্রিম নয়, এই গরমে আমদের যে কোনো ঠাণ্ডা কোমল পানীয়, ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল একদম এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ তা সল্পের জন্যে মুখে ঠাণ্ডা স্বস্তি দিলেও কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তার বদলে শরীর ঠাণ্ডা করতে আপনি বাতাসার জল, ডাবের জল, চিনি ছাড়া লস্যি, আখের রস ইত্যাদি খেতে পারেন। তাতে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে দীর্ঘক্ষণ, এবং সুস্থ থাকতে পারবেন এই গরমে। তাছাড়া নিয়মিত নরমাল সাদা জল খেতে পারেন, এর কোনো বিকল্প নেই।
আইসক্রিম যে শুধু মাত্র আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় তা নয় , এটি হজমেও ক্ষতি করে। দুগ্ধ এবং ফ্যাট জাতীয় এই খাবার আমাদের শরীরে যাওয়ার সাথে সাথে হজমে সমস্যা করে। আইসক্রিমের দুগ্ধ, ফ্যাট জাতীয় খাবারকে ভাঙতে গিয়ে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তা আমাদের শরীরের তাপ কে বাড়িয়ে দেয়। তার তুলনায় শীতকালে আপনি খেতে পারেন আইসক্রিম, যার ফলে শরীরের তাপমাত্রাও বজায় থাকবে এবং আইসক্রিমের স্বাদ ও অনুভব করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে ও মুখ্য ভূমিকা পালন করে আইসক্রিম। মিষ্টি আমরা সকলেই এড়িয়ে চলি, যাতে আমাদের ওজন বৃদ্ধি না হয়, কিন্তু সেই তুলনায় কিছু না বিবেচনা করেই আইসক্রিম খেয়ে ফেলি। ফলে পরোক্ষ ভাবে ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে হয় সকলকে।
তাই এই গরমে যতটা সম্ভব আইসক্রিম সহ নরম ঠাণ্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন, এবং বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম হালকা জাতীয় সুতির পোশাক পরুন।
Discussion about this post