জরায়ু বৃদ্ধি পাওয়া, জরায়ুতে টিউমার এইসব সমস্যা এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। বেশির ভাগ মানুষ ফ্রাইবয়েডের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। ফ্রাইবয়েডের এই সমস্যার জন্য দায়ী, আমাদের অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, অনিয়মিত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণে অর্থাৎ মা, মাসিদের ফ্রাইবয়েড আছে এরকম সমস্যায় ফ্রাইবয়েডের অসুখে ভোগার সম্ভবনা বেশি থাকে।
প্রথম দিকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পরে অতিরিক্ত রক্তপাত এবং তারও পরবর্তী কালে সন্তান ধারণে সমস্যা, ফাইব্রয়েড থাকলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডেই বেশি মহিলা আক্রান্ত হন। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ফ্রাইবয়েডের সমস্যা খুব বেশি বৃদ্ধি পায়। জেনে নেওয়া যাক, সেই খাবার গুলি সম্পর্কে।
ফ্যাট যুক্ত দুগ্ধজাত খাবার
ফ্যাট জাতীয় দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেলে আমাদের ফাইব্রয়েডের আয়তন বাড়তে পরে। বিশেষ করে প্রাণীজ দুধ থেকে তৈরি দুগ্ধ জাত খাবার বিশেষ করে ঘি, দুধ, মাখন জাতীয় খাবারে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। তার বদলে উদ্ভিজ দুধ, যেমন সোয়া দুধ, কাঠবাদাম দুধ, ফ্যাট ফ্রি দুধ খেতে পারেন। যার ফলে ফাইব্রয়েডের সমস্যার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
পক্রিয়াজাত মাংস
মাংস প্রোটিনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস। কিন্তু পক্রিয়াজাত মাংস খেলে আমাদের ফ্রাইবয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর বদলে বাড়িতে রান্না করা ডিম মাংস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এমনি জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। পক্রিয়াজাত মাংস বিশেষ করে, সসেজের মতো খাবার গুলি আমাদের শরীরে হরমোনের তারতম্যের সৃষ্টি করে। মারাত্মক হরমোনের ডিসব্যালেন্সড তৈরি হয়। তাই পক্রিয়াজাত মাংসর তৈরি বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট
ভাত, ময়দা এবং সাদা রঙের খাবার শর্করার প্রধান উপাদান তাই। যতটা সম্ভব পালিশ করা চালের বদলে, লাল চাল এবং ময়দার বদলে লাল আটা ব্যবহার করুন। কারণ সাদা জাতীয় খাবারে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। কার্বোহাইড্রেট শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই জাতীয় খাবার বেশি খেলে প্রদাহ জনিত সমস্যা এবং ইনফ্লেমেশনের সমস্যা বাড়ে। যার ফলে ফাইব্রয়েডের সমস্যা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। এর পরিবর্তে হলগ্রেন বা দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
Discussion about this post