হাদি মৃত। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে সেই সময় পদ্মাপারে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে হাদির দেহ। শনিবার দুপুর ২টোয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা সম্পন্ন হবে। এর পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, দেশের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হবে হাদিকে। পরিবারের অনুরোধ মেনেই নজরুলের পাশে হাদিকে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নয়ের নেত্রী ফতিমা তসনিম জুমা জানিয়েছে, ‘পরিবারের অনুরোধ মেনে কবি নজরুলের পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।’ হাদির মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়। বিচারের দাবিতে রাস্তায় ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের। ক্রমে ক্রমে ঢাকার বাইরে, দেশের অন্যত্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাদির মৃত্যু আপাতত অতীত। কতগুলি প্রশ্নের উত্তর হয়তো আর কোনওদিন জানা যাবে না। কিন্তু যে প্রশ্নটা ইতিমধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে সেটা হল হাদির পর কে হতে চলেছে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার?
হাদির মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের প্রতিক্রিয়া ছিল – ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুই একটা খুন-খারাবি হয়। এই যে হাদীর একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল।’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন আগে- ‘কি আহসানউল্লাহ মাস্টার খুন হয় নাই? এরকমত তো অনেক আগেও হয়েছে, ঘটনা তো অনেক আছে। আমাদের কিবরিয়া সাহেব যে ফরমার ফরেন মিনিস্টার, কিবরিয়া সাহেব খুন হন নাই? ইলেকশন আসলে এ ধরনের ঘটনা হয়। বাংলাদেশ এগুলো নতুন কিছু না। সুতরাং, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বরং উন্নতি হয়েছে।’ তবে সিইসি বিষয়টিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দেখার চেষ্টা করলেও সদ্য বিদায়ী উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। যদি একটি লাশও পরে, তাহলে লাশ নেবে। প্রশ্ন হল পরের টার্গেট কে?
ভারতের প্রাক্তন সেনাকর্তা কর্নেল অজয় কে রায়না তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, হাদির পর পরের টার্গেট এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এটাও জানিয়েছেন, হাসনাতকে গুলি করা হবে গলায়। কী লিখেছেন অজয় কে রায়না তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সেটা হুবহু এখানে তুলে ধরা হল। “The shot should be fired at the neck, not the head. First, he must be silenced. যদিও কীসের ভিত্তিতে তিনি এই কথা বলছেন, তার কোনও প্রমাণ তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে দিতে পারেননি। এই নিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর জবাব এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বলাই বা়ঞ্ছনীয়। অনেকের মতে, প্রাক্তন সেনাকর্তা রায়নার বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, হাদির মৃত্যুর সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে ভারত জড়িত। যদিও এটা পুরোটাই অনুমান নির্ভর। বাংলাদেশের তদারকি সরকার থেকে একই দাবি করা হয়েছে। তবে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সকলেই সে দেশের নাগরিক।
হাসিনার আমলেও বাংলাদেশের মানুষ চুপ ছিল। তার কারণ অবশ্য ভিন্ন। এই সরকারের আমলে মানুষ চুপ রয়েছে মবের ভয়ে। পুরো দেশ যখন হাদি ইস্যুতে তপ্ত, সেই সময় রাজধানীর হাজারীবাগের জিগাতলা কাঁচাবাজার সংলগ্ন একটি ছাত্রী নিবাস থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেত্রী জান্নাতারা রুমীর (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ধানমন্ডি থানা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। জান্নাতারা রুমী একজন আওয়ামী লীগ বিরোধী নেত্রী হিসেবেই পরিচিত। সে আত্মহত্যা করেছে না কি তাঁকে কেউ খুন করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post