আবারও খবরের শিরোনামে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। আমেরিকায় তারা খুন করেছে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারিকে। যে গ্যাংস্টারকে খুন করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। সে ভারতের শত্রু। তবে কি আখেরে ভারতেরই উপকার করল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। প্রশ্ন উঠছে।
সম্প্রতি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং বহুবার খবরের শিরোনামে এসেছে। যারা একাধিকবার বলিউড স্টার শালমন খানকে হুমকি দিয়েছে। তাকে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আর সেই গ্যাং-ই এবার আমেরিকায় খুন করল আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারি সুনীল যাদবকে। এমনকি খুন করে স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করল তাদেরই গ্যাংস্টারের সদস্য। রোহিত গোদারা সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত জানিয়েছে স্পষ্ট করে, আমেরিকায় মাদক পাচারকারিকে খুন করেছে তারা। এমনকি নীচেই উল্লেখ করেছে, বিশ্বের যে কোনও স্থানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের শত্রু, তারা পৌঁছে গিয়ে তাদের প্রাণনাশ করবে। তবে যাকে খুন করেছে তারা তারা ভারতের সবথেকে বড় শত্রু। এই সুনীল যাদব পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করত। সেই তালিকায় রয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্চাব এই সমস্ত রাজ্যগুলি। এমনকি পুলিসের সাহাষ্য নিয়েই মাদক পাচার করত। জানা যাচ্ছে, পরে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি্্ করে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সুনীল। তথ্য বলছে, দু বছর আগে দিল্লি থেকে রাহুল নামে একটি ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করায় সে। সেই পাসপোর্ট ধরেই পালিয়ে যায় আমেরিকায়। পরে সুনীলের দুই ঘনিষ্ট গ্রেফতার হয় দুবাই থেকে।
তবে বোঝাই যাচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল এই আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারির। জানা যাচ্ছে, ক্যালিফোনিয়াতে সুনীলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কার্যত তাকে খুন করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুধুমাত্র ভারতই নয়, আমেরিকাতেও এই সুনীল যাদব মাদক পাচার করত বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে পাকিস্তান নানা কৌশলগতভাবে ভারতকে চাপে ফেলেছে। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও জোর আলোচনা চলে। তবে সামান্য মাদক পাচারকারীকে দিয়েই ভারতের অভ্যান্তরে নাশকতা ছড়াতে চাইছে দেশটি তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি, ভারতের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশকে উস্কাচ্ছে পাকিস্তান। একাধিকবার সে দেশের অন্তবর্তী সরকারের সহ্গে বৈঠক করছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে ভারতকে প্যাঁচে ফেলা যায়, গুটি সাজাচ্ছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। তারমধ্যেই এরকম একটি খবর, যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আ্তর্জাতিকমহল।
Discussion about this post