গত মাসের ঘটনা! পাকিস্তান করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশে একটি পণ্যবাহী জাহাজ এসে পৌঁছেছিল। তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ জল্পনা শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার এক মাস যেতে না যেতেই ফের সেই একই জাহাজ পাকিস্তানের করাচি থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসছে বলে সূত্রের খবর।
আগামী শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বরই এই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা। তবে গত বারে যে পাকিস্তানি জাহাজ বাংলাদেশে ঢুকেছিলো সেই জাহাজে যে পরিমাণ পণ্য এসেছিল, এ বার তার থেকে অনেক বেশি পন্য আসছে বলেও জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে পরিমাণ পণ্য আসছে তা আগের বারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে। কিন্তু ওই জাহাজে কী কী পণ্য থাকছে সেটা এখনও জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের ছবি। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছে। ওপার বাংলা জুড়ে শুধুই ভারত বিদ্বেষ। কখনও ভারত দখলের হুঁশিয়ারি তো আবার কখনও ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক । এমনকী ৭১ এর ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহাম্মদ ইউনূসও। ইতিমধ্যে পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা অনেক সহজ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমশ বাণিজ্য বাড়াচ্ছে ইউনূস সরকার। এই অবস্থায় গত কয়েকদিনে একাধিক কন্টেনার ভর্তি জাহাজ এসেছে বাংলাদেশে। ভারত উপকূল ছুঁয়েই কার্যত সে দেশে পৌঁছেছে পাক জাহাজ।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছিল চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার বাংলাদেশে পৌঁছেছিল, তার মধ্যে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনার এসেছিল পাকিস্তান থেকে। আরও বাকি ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’।
রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামক জাহাজটি এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে। তবে এবারের জাহাজে কী কী আসছে সে বিষয়ে অনুমান করা হচ্ছে, পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য ওই সমস্ত ওই কন্টেনারে থাকতে পারে। কারণ পাকিস্তান থেকে মূলত এই সমস্ত জিনিসই রপ্তানি বাংলাদেশে হয়ে থাকে বলে দাবি।
দ্বিতীয়বারের মতো গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রণনা দিয়েছিল ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজ। এটি ১৯ ডিসেম্বরের আগেই বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছিল জাহাজটি। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, আগামী ২১ বা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করতে পারে জাহাজটি।
এবং ২৩ তারিখ এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোটা এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর ভারত রাখছে বলেই জানা গিয়েছে। স্থল সীমান্তের পাশাপাশি এই বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। তবে সেই জাহাজে কী কী পণ্য রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এই নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিপিং সংস্থাটি তাদের জাহাজের কনটেনারে কী কী আছে তা অনলাইনে স্পষ্ট করবে।
Discussion about this post