কেন্দ্রের আবাস যোজনার বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছিলেন। পাশাপাশি ধর্না মঞ্চে একটি প্রতীকী ওয়াশিং মেশিন এনে কালো কাপড় ঢুকিয়ে, সাদা কাপড় বের করে জনগণকে দেখাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ বোঝাতে চাইছিলেন, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলে,বিজেপিতে তারা প্রত্যেকেই সাদা হয়ে যায়। অর্থাৎ সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর মত আরো বেশি কিছু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা কিছু নেতৃত্বকে যে নিশানা করছেন, সেটা পরিষ্কার। সেটা অবশ্য ছিল ২০২৩ সাল। এখন ২০২৫। এখন আরেকটি ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গেই অনেকে মিল খোঁজার চেষ্টা করছেন। অবশ্য সেটা ঘটেছে তৃণমূলে। কিছুদিন আগে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের এক আইসি কে যে ভাষায় যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে দৃষ্টান্তমূলক তেমন কোনও শাস্তি লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টে দেখা গেল, ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকের আগেই বীরভূম তৃণমূলের চেয়ারপার্সন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখকে নিয়ে বৈঠক করেন সুব্রত বক্সী ও ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রত এবং কাজলের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করে দল। বিরোধীরা বলছেন, তবে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে এইভাবে অপমান করে পার পেয়ে গেল বীরভূমের বাঘ? তৃণমূলের ওয়াশিং মেশিনে সাফ হয়ে গেলেন কেষ্ট?
পাশাপাশি তৃণমূল সরকারকেই ফাঁসিয়ে দিল শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমরা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমরা এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন কিছু বিতর্কিত কথা বলে ফেললেন, যেটা বিরোধী আর শুভেন্দু অধিকারীর কাছে একটা বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়ালো। এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিরাজ বা শোভন দেবের কানে কানবলা যেতে পারেন। মজা করে কেউ কেউ এমনটাই বলছেন। ঠিক কি বলেছেন ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা শুনুন…
অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে জনগণের কাছে ভালো প্রমাণ করার জন্য, অনিল বোসদের কথা তুলে ধরেন ববি হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। ২০১১ সালে অনিল বোসরা তৎকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। আর সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের মসনদে বসিয়েছিল বাংলার মানুষ। এবার সব থেকে আট মাসের মধ্যে বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেও একই কাজ করবে। কারণ অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে পুলিশের আইসি কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, এটাও বাংলার মানুষ নজর রাখছে। এর পাশাপাশি বাংলা ভাষার গরিমা যেভাবে নিচেই নামাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডলের মতো রাজনীতিবিদরা, তাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা সমালোচনা না করে বরং গাইড করার চেষ্টা করছেন। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Discussion about this post