আরাকান আর্মি, বাংলাদেশের কাছে একটি আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরাকান আর্মি যেভাবে দিনে দিনে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে, ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। এরমধ্যেই সামনে এল একটি ভিডিও। যা আরাকান আর্মিদের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। কি রয়েছে সেই ভিডিওতে?
ভিডিওতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম মানেই চট্টগ্রাম বন্দর তা নয়। মূল যে চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লাগোয়া, তারও পূর্বে বেশ খানিকটা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, সেগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পড়ে। সেখানে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মায়ানমার আর্মি থেকে যুদ্ধাস্ত্র জোগাচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে দিনে দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এটি বুঝেও গিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এই কারণে এই আরাকান আর্মিকে ছোট করে দেখছে না সরকার। বরং কীভাবে তারা মোকাবিলা করবেন, সেই নিয়েই আলোচনার পর আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বেশ খানিকটা রয়েছে রাখাইন রাজ্য এবং খানিকটা বাংলাদেশের মধ্যে। শোনা যাচ্ছে, যে বোমা বর্ষণের কথা প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি, তা বাংলাদেশের মধ্যে হয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও বর্ডার থেকে খুব বেশি ভিতরে নয়। তবে বাংলাদেশের মধ্যে এই ধরণের খবর সামনে এলে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম তা একেবারে স্পষ্ট করে জানাতো। বা দেশের অভ্যান্তরে একটি শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হত। তবে এই ভিডিও প্রকাশের পর অনেকে বলছেন, আরাকান আর্মির এই সুরায়াত। তারপর ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, তার উত্তর দেবে সময়। তবে বাংলাদেশের সরকার আরাকান আর্মি নিয়ে যতই চুপ করে থাকুক, বাংলাদেশের মাটিতে যে আঘাত এসেছে, তা নিশ্চিত। অন্যদিকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দাপট দেখা যাচ্ছে। তাও অস্বীকার করার মতো নয়। রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ সরকার এরপরও যদি সতর্ক না হয়, সেক্ষেত্রে দেশের একটি বিরাট অংশ তাদের হাতছাড়া হবে, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, ভারতও এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ ছেড়ে এখন নিজেদের এলাকা সামলে রাখতে পারে কিনা বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post