বাংলাদেশে অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমনটাই মনে করছে মহম্মদ ইউনুস ও তার দল। পাশাপাশি, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সেনাবাহিনীতে সমস্ত দ্বন্দ্ব ও বিভেদ মিটিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, আর এই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার চিন সফর, সে দেশের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর দখলে নেওয়ার পথ কি প্রশস্ত করে দিল? নাকি সত্যিই বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান ঘটতে চলেছে?
সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান পরপর তিনদিন ধরে অনেকগুলো বৈঠক করলেন। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল, বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা দূর করা এবং বাহিনীর ঐক্য ফিরিয়ে আনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার যে পরামর্শ জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দিলেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
কারণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এর মধ্যেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সিদ্ধ হস্তে নেমে পড়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে। এমনকি সেনানিবাসে সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুরর সঙ্গে দেখা করেন সেনাপ্রধান। সেই বৈঠক চলে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপরই ক্যান্টনমেন্টে সারি সারি ট্যাঙ্ক আর সেনা ঢুকছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতে দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর তৎপরতা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অতি সক্রিয়তা। কিন্তু কেন? তবে কি বাংলাদেশের ক্ষমতা সেনার হাতে?
সূত্রের খবর, দেশে সেনা শাসন বা জরুরি ভিত্তিক কোনও একশন শুরু হওয়ার কথা এখনও নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে বেশ কিছু বিশেষ সিদ্ধান্ত সামনে আসতে পারে। সেনাপ্রধান তার উচ্চপদস্থ সেনাকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে গ্রহণ করেছেন। শুধু মাত্র তাই নয়,
রাষ্ট্রপতির সম্মতিও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর কারণ এর মধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন ওয়াকার উজ জামান।
শোনা যায়, বাংলাদেশে নাকি ফের অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে চলে গেল ভারতের কারণে। ভারতই প্ল্যান বানচাল করে দেয়। ভারতের বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এই খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি এটাও জানা যাচ্ছে, এর মাস্টার মাইন্ড ছিল সেনা কর্তা ফয়জুর রহমান।
গোপন সূত্রে খবর, সেনাপ্রধান এতদিন নিশ্চুপ থাকলেও ভিতরে ভিতরে ছক কষেছেন, আর তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখন।
Discussion about this post