আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে একসঙ্গে। আপাতত মুহাম্মদ ইউনূস সরকার বাংলাদেশের নির্বাচনের অংশিক নির্ঘান্ট প্রকাশ করেছে। ভোট গণনা সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। আবার এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাঁদের সহযোগী দলগুলোকে বাইরে রাখার সব পায়তারা করা হচ্ছিল। তখনই বোঝা গিয়েছিল এটা হতে চলেছে একটা প্রহসনের নির্বাচন। কিন্তু ভারত-সহ একাধিক ইউরোপীয় দেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে চেয়ে দাবি জানিয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও চাপে ছিল ইউনূস সরকার। তাঁরা চাইছে ভোট পিছিয়ে দিতে, তাঁদের পৃষ্টপোষকরাও তাই চাইছে। সেই কারণেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশে। ইনকিলাব মঞ্চের প্রধান ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং মৃত্যু সেই সুযোগটাই করে দিল ওই ষড়যন্ত্রকারীদের।
ভারত ভেঙে ‘গ্রেটার বাংলাদেশে’র স্বপ্ন দেখতেন শরিফ ওসমান হাদি। তিনিও নাকি ছিলেন গত জুলাই আন্দোলনের মুখ। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হলেও তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে হচ্ছিল। যদিও শেখ হাসিনা এবং আওয়মি লীগ এবং ভারত বিরোধিতাই ছিল ওসমান হাদির রাজনৈতিক অভিমুখ। তাই তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ভারত ও আওয়ামী লীগকেই প্রথম টার্গেট করা হয়। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হাদির। এরপরই বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় অরাজকতা এবং বিশৃঙ্খলতা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এতখানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন ওসমান হাদি?
জানা যাচ্ছে ভারত বিরোধী ওসমান হাদির জন্ম বরিশালে, তাঁর বাবা ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। ফলে স্থানীয় মাদ্রাসাতেই তাঁর ছেলেবেলার শিক্ষা শুরু হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি এবং নিজে শিক্ষকতাও করতেন। এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে চলন্ত বাইক থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি করেন কার্যত পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে সরকারি সাহায্যে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় উন্নত চিকিরসার জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই গোটা বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনটা হল?
বিভিন্ন মহল থেকে যে তথ্য উঠে আসছে তা হল এটা একটা আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে কাজে লাগিয়ে এটা পরিচালিত করছে জামাত এবং তাঁদের সহযোগী ইসলামিক সংগঠনগুলি। এর পিছনে যেমন আছে পাকিস্তানের আইএসআই, তেমনই আছে মার্কিন ডিপ স্টেটের প্রভাব। ভারত বিরোধিতাকে সামনে রেখে গোটা পরিকল্পনা সাজানো হলেও এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য হল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে আরও কয়েকমাস ক্ষমতায় রেখে দেওয়া। আর সেই কারণেই ইউনূস সরকার কার্যত চুপ করে বসে রয়েছে, এই বিক্ষোভ বা অরাজকতা ঠেকানোর কোনও লক্ষণ নেই তাঁদের মধ্যে। আসলে জামাত-ই-ইসলামী তাইই করছে যা পাকিস্তান চায়। আর পাকিস্তান নাচছে মার্কিন ডিপ স্টেটের কথায়। পাকিস্তান চাইছে, ফের আগের মতো বাংলাদেশের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক। জামাত তাঁদেরই বাংলাদেশি হ্যন্ডলার। আর মার্কিন ডিপ স্টেট চাইছে আরও কিছুদিন তাঁদের হাতের পুতুল ইউনূস সাহেব বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুন। কারণ তাঁদের পুরো পরিকল্পনা আচমকা ভেস্তে গিয়েছে। আর এর পিছনে যেমন ভারত আছে, তেমনই ভারতের কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্রও আছে। আর সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে চিনা গুপ্তচররাও বাংলাদেশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ফলে মার্কিন ডিপ স্টেটের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা এখানে খুব একটা কাজে আসছে না। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জেনারেল, সেনাকর্তা ও আইএসআই অফিসাররা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর প্রভাব খাটাচ্ছিলেন। যেটা ভারত প্রতিহত করেছে তাঁদের মতো করে। এবার নির্বাচন হতে চলেছে বাংলাদেশে। যদিও ভারতের পছন্দের আওয়ামী লীগকে ইউনূস সরকার সুযোগ দিতে নারাজ। কিন্তু তবুও জামাতের সুযোগ কমে আসছিল, যতই তাঁরা সংগঠন মজবূত করুক না কেন। তারেক রহমানের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত এবং বিএনপির চাল অনুযায়ী বাংলাদেশে তাঁরাই ক্ষমতায় আসতো। তাতে ইউনূস এবং পাকিস্তান ও মার্কিন প্রভাব হয়তো খতম হয়ে যেত বাংলাদেশে। তাই বাংলাদেশের নির্বাচন আপাতত ভেস্তে দিতেই এই পরিকল্পনা। ফের অশান্ত বাংলাদেশ, তাই নির্বাচন পিছিয়ে দাও। কেউ কেউ মনে করছেন, তারেক ও হাসিনার মধ্যে কিছু একটা সমঝোতা হয়ে গিয়েছে ভারতের মধ্যস্থতায়। তাই কি বাংলাদেশ অশান্ত হল?
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post