বাংলাদেশের রাজপথে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে ঢাকার রাজপথে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। একদম ধীরে ধীরে তাদের এই মিছিলে আওয়ামী লীগের অনেক পুরনো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মাঝে দেখা গেল দলটি একটি টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। জানানো হচ্ছে, মেয়ে জুনের মধ্যে রাজপথ দখল নেবে আওয়ামী লীগ। এবার প্রশ্ন সেটি কতটা সম্ভব হবে? এই টার্গেট কি পূরণ করতে পারবে দলটি!
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা তিনি দেশে ফেরার বার্তা দিয়েছেন একেবারে দিনক্ষণ উল্লেখ করার পর্যায়ে এই বার্তাগুলি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে দেশের যে বর্তমান অবস্থা তাতে এই বার্তাগুলিকে অবাস্তব মনে হতেই পারে। রাজনৈতিক যে তার অবস্থানকে ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল স্তরের নেতারা যে কতটা ঝুঁকি নিয়েছে তা আটকের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। পুলিশে তথ্য অনুযায়ী,বিগত তিন দিনে আটক করা হয়েছে ৪৭৬৬ জনকে আটক করা হচ্ছে। আর ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে যে বহুল সমালোচিত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলেছিল বাংলাদেশে তার ফলে আটক হয়েছিল ২২ দিনে ১২৫০০ জন আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ শাখার নেতাকর্মীরা।
এবার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মে- জুনকে টার্গেট করে বাংলাদেশের রাজপথ দখলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এর মাঝে দেখা গিয়েছে সে দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী যেহেতু নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে যে আওয়ামী লীগের এই মিছিল রুখতে যে সকল পুলিশ আধিকারিকেরা ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । যেটাকে বেয়াইনের উদ্দেশ্য বলেই আখ্যা দিচ্ছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। এবং খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক মহলেও এটি একটি চর্চার বিষয় হয়ে উঠতে পারে এবং নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর মাঝে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের একটি গ্রুপে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তিনি সে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনের মাধ্যমে জানান, ফান্ডের সমস্যার কারণে প্রতিটি জেলায় ঝটিকা মিছিল দিয়ে শুরু করতে হবে কর্মসূচি।
এই মিছিলে উপস্থিত থাকবে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার রাস্তায় বাস অটোচালকের ছদ্মবেশে এই মিছিলে যোগদান করতে হবে বিভিন্ন নেতাকর্মীকে।প্রয়োজনে আত্মরক্ষার্থে ইলেকট্রিক শক ডিভাইস ও ক্ষুদ্র জিনিসপত্র রাখতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, নিম্নপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যারা বিদেশে আছেন, তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে। যদি এক হাজার নেতাকর্মী আসেন, প্রয়োজনে ২০০ গ্রেপ্তার হলেও রিজার্ভে থাকবেন ৮০০। ৬৩ জেলায় অন্তত ১৫ লাখ লোককে জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। মে ও জুন মাসের মধ্যেই তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। যেখানে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
ইতিমধ্যে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ঝটিকা মিছিল বের করার ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধশত ঝটিকা মিছিল হয়েছে। সারা দেশে জেলা, থানা ও ওয়ার্ডপর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করছেন।
অনেক নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছদ্মনামের আইডিতে সেই মিছিলের ছবি ভিডিও পোস্ট করছেন। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের বাইরে পলাতক থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে। মিছিলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। এখন দেখার এই সমস্ত প্রশাসনিক বাধা কাটিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন গুলি তাদের এই টার্গেট পূরণ করতে সক্ষম হয় কিনা।
Discussion about this post