সরকারি সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর অ্যাকশন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে সমন্বয়ক পদটি আর থাকবে না বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এখন নাকি সবই রাজনীতির মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। সেটা কি রকম, চলুন বোঝার চেষ্টা করি।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সরকারি সফর শেষ করে আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তিনি ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে আসেননি। তিনি এসেছেন তেজগাঁও বিমানবন্দর দিয়ে। যা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তিনি নতুন কোনও তথ্য নিয়ে এলেন কিনা, সেটা অবশ্য সময় বলবে। শোনা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সরকারের উপর বিরক্ত। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার ঘুরপথে প্রকাশও পেয়েছে তার বিভিন্ন বক্তব্যে। অনেকেই বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক অবনতি হয়েছে। সেটার দায় ইউনূসের বোকা বোকা কিছু কার্যকলাপ। ইদানিং বিভিন্ন অ্যাকশনে সেনাবাহিনীকে আগের তুলনায় বেশ তৎপর মনে হচ্ছে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জানা যাচ্ছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখানকার আব্দুল লতিফ হলে ছাত্র শিবিরের সভাপতির ঘোর তল্লাশি করে হদিশ মিলেছে অস্ত্র ভান্ডারের। উদ্ধার হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে অস্ত্র। এমনকি জানা যাচ্ছে, ৫ই অগাস্টের পর পুলিশের যত অস্ত্র লুঠ হয়েছে, তার অনেকটাই এখানে চালান হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু পুলিসের অস্ত্র কিভাবে সেখানে পৌঁছল, সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এমনকি এও বলা হচ্ছে, এখানে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে, সেটা জানে পুলিস ও সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপরও এতদিন তল্লাশি চালানো হয়নি। অবশেষে সেনাবাহিনী সেগুলিকে উদ্ধার করে। অর্থাৎ, সেনাপ্রধান ফিরতেই সেনাবাহিনীর অ্যাকশন শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ দিন দিন নজির গড়ছে। সদ্য আত্মপ্রকাশ হওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা করেছেন, দেশে আর কোনও সমন্বয়ক বলে কিছু থাকবে না। তিনি বলেছেন, যদি দেশে সমন্বয়ক বলে কেউ কিছু করতে চাই, তবে পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করবে।
যারা সমন্বয়ক হিসাবে রয়েছেন, তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হবে এই জাতীয় নাগরিক কমিটির। এমনকি এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, সারজিস আলমের উপর আক্রমণ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের অন্দরে জটিল পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করেন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস, সেটা সময় বলবে। পাশাপাশি সেনাপ্রধান, যিনি দেশের মানুষের অতি ভরসার জায়গা, তিনি কি তথ্য নিয়ে এলেন, সেই নিয়েও নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেটা সেনাপ্রধান ফাঁস করেন কিনা, সেটাই দেখার।
Discussion about this post