সাত মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্যারাকের বাইরে অবস্থান করছে। ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সেনা। বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বরে এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় আর এবার এই পাওয়ারের চতুর্থ ধাপে এসে পৌঁছালো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মূলত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ বা ভঙ্গুর দেশ গুলি সিভিল প্রশাসন দ্বারা চালিত হলেও সেখানে সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় সেনানিবাসের বাইরেও থাকতে সে দেশের সেনাদের। একই ছবি দীর্ঘদিন দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে। আর আজ সারা বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতীগত দাঙ্গার কারণেই জায়গায় জায়গায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হত। আর এখন গোটা বাংলাদেশ জুড়ে জাতিগত দাঙ্গা হানাহানি সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকের পাশে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আর এবার চতুর্থ ধাপে ম্যাজিস্ট্রে সি পাওয়ার নিয়ে সেনাবাহিনী নিজের অবস্থানে অটল থাকল। আর এটি নির্বাচন পর্যন্ত চলবে বলেই নিশ্চিত।
এবার দেশে সেনাবাহিনী থেকেও বা কি হচ্ছে, এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের বেসামরিক বাহিনী অর্থাৎ পুলিশ প্রশাসন তারা এখনও পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা অবতীর্ণ হতে পারেনি। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশকেই মার খেতে হচ্ছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, থানা ঘেরাও করা হচ্ছে, তাহলে পুলিশ কি সত্যিই কাজ করতে পারছে? রমজান মাসেও বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পুলিশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু ট্রাফিক পুলিশ নয় বাংলাদেশের টহল পুলিশের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। এসব কারণে সেনাবাহিনী যে আছে সেটা অন্তত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটা মানসিক স্বস্তি।
কিন্তু সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের মাঝে জানিয়েছিলেন যে মাত্র ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে কাজ করতে হয় সেনাবাহিনীকে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ৩০ হাজার সৈন্য এর কাজ করা সত্যিই কি সম্ভব? সেজন্যই সেদেশের সেনাবাহিনীও সাধারণ মানুষকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এই সমস্ত ঘটনায় বেসামরিক অর্থাৎ পুলিশ বাহিনীর ব্যর্থতা যেমন উঠে আসছে তেমনি কালিমা লিপ্ত হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীও। দেশে বিদেশে আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মাঠে আছে ম্যাজিস্ট্রসে পাওয়ার হাতে নিয়ে তারপরেও সে দেশের নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থত তারা। তবে ভবিষ্যৎ কি না তা জানা থাকলেও, এটুকু বলাই যায় যে সেনাবাহিনী মাঠে থাকছে।
Discussion about this post