ভারত পাকিস্তানের মাঝে বাংলাদেশে কতগুলি পট পরিবর্তন হয়েছে। এবার বাংলাদেশ হয়তো বুঝতে পারছে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে গিয়েছে। তারা কি এবার আই এস আই এর সঙ্গ ছেড়ে দেবে নাকি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে থাকবে? এরই মধ্যে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এরই মাঝে এক কর্তাকে বরখাস্ত করা হলো বলে খবর। তার নাম জেনারেল কামরুল হাসান।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ১১ ই মে মোঃ ইউনুস চুপিসারে পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দরবারে। সেখানে গিয়েই মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দেওয়ার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এমনকি একটি চিঠিও দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। আর সেই চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে তিনি বাহিনীর প্রধান দেখা করতে যান বলে খবর। আর সেখানেই আলোচিত হয়, দেশের মানুষ এখনও সেনাবাহিনীর ওপরই আস্থা রাখছে। আর তারপরই আলোচনা করে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যায়। এমনকি সেই সময় সেনাপ্রধানের আমেরিকা সফর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর কাটছাঁট করে দেওয়া হয়। কারণ তিনি দেশ থেকে বেরিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কু করা অনেক বেশি সহজ ছিল। ফলে তিনি দেশে থেকে পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসেন।
এরমধ্যে জেনারেল কামরুল হাসান পাকিস্তানে গিয়ে আসিম মুনির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। খবর রয়েছে, কামরুল হাসান সরাসরি মোহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন রিপোর্ট জমা করতেন। এমনকি পাকিস্তানে গিয়ে কামরুল হাসান জেনারেল শামসাদ মির্জা, যিনি পাক সেনাকর্তা, তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। মনে করা হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে প্ল্যান করছে তারা। শুধু তাই নয়, তারা বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে ভাবে অপযস্ত করা যায়, তারও ছক কষা হচ্ছে। এমনকি তারাই দেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে চেয়েছিলেন। এমনকি সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন।
তবে যেভাবে বাংলাদেশে সেনানিবাসে একের পর এক করা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না এই সেনা কর্তারা। এমনকি কামরুল হাসানকে নজরবন্দি করা হয়েছে বলে খবর। এখন দেখার, শেষমেশ সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান কিভাবে সেনানিবাসের পরিস্থিতি এবং সমগ্র দেশের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি তাতে সেনাপ্রধানকেই হাল ধরতে হবে।
Discussion about this post