হাসিনা এখনও ভারতের আশ্রয়ে। একাধিকবার নানা কৌশলে বাংলাদেশ ভারতকে বলেছে, হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ বলছে, হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে কিছুতেই তুলে দেবে না ভারত। অন্যদিকে কার্যত বাংলাদেশ দিনে দিনে আঁধারে ডুবছে। একদিকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতারভাবে চলছে অত্যাচার। যা আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠছে।
বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছে, যেভাবে ইউনূস একের পর এক মামলা দিচ্ছে, সেখানে হয় তো হাসিনা সরকারই ভালো ছিল। এমনকি বুদ্ধিজীবীদের একাংশ মুহম্মুদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে অভ্যান্তরে বিশৃঙ্খলা নয়, দেশের একটি বিরাট অংশ আরাকান আর্মির হাতে দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ইউনূস। যা লাগাম টানতে তিনি ব্যর্থ হবেন। সেই জায়গায় শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের তদারকি সরকার এখন প্রবল চাপে। এরমধ্যে যদি হাসিনার প্রত্যপর্ন হয়, তবে ইউনূস যে আর চাপে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি হাসিনার প্রচ্যপর্ন না হলেও বাংলাদেশ চট্টগ্রামকে নিজেদের দখলে রাখতে পারবে না, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে হাসিনার দিকে সমর্থন রয়েছে চার রাষ্ট্র প্রধানের। ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং সি জিং পিং হল এক একটি শক্তি। আন্তজার্তিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে এই চার রাষ্ট্র প্রধান। শেখ হাসিনার প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। ট্রাম্পের কৌশলী নেতৃত্ব, মোদির কৌশলগত বন্ধুত্ব, সি জিং পিং-এর উন্নয়নমূলক সহযোগিতা এবং পুতিনের শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান শেখ হাসিনার ফিরে আসার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশের যে পরিস্থিতিতে রয়েছে এখন, তাতে চট্টগ্রাম হারাতে পারে বাংলাদেশ। প্রবল আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।ব অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনা যদি তার দেশে ফের ফিরে আসে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে।
তবে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে ফেরত দেওয়ার কোনও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপ নেই। তারমধ্যে ভারত হাসিনাকে গ্রীন পাসপোর্ট দিয়েছে। অর্থাৎ যেকোনও দেশে যেতে পারবেন শেখ হাসিনা। তাকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে ভারত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, হাসিনাকে ভারত এইভাবে সাহাষ্য কেন করছে? কারণ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পরম্পরায় রয়েছে। সেই বন্ধুত্বের পরম্পরা মেনে ভারত হাসিনাকে নিরাপদে রেখেছে। ৫ই অগাস্ট ভারত হাসিনাকে নিয়ে যে লড়াই করছে, তা এখনও পর্যন্ত চালিয়ে যাবে ভারত। মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তার কারণ যদি বাংলাদেশের হাতে হাসিনাকে তুলে দেওয়া হয় তাহলে মনে করা হবে দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের কোনও আধিপত্যই নেই। সেই কারণেই বাংলাদেশের মতো একটি ছোট্ট দেশের হাতে ভয়ে ভারত আত্মসমর্পণ করল। সেটা হতে দেবে বনা ভারত।
সেই কারণেই সম্প্রতির দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বারবার ইউনূস সরকার বৈঠক করতে চাইলেও তিনি বৈঠকে বসেননি। ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন সরকারের অনুপস্থিতিতে সেনাপ্রধানকেই প্রধান হিসাবে মানবে। এমনকি জয়শঙ্করও একটি বৈঠকও করেননি। বিক্রম মিশ্রিকে ওই বৈঠকে পাঠানো হয়েছিল। তাহলে একদমই পরিষ্কার, ভারতের কাছে বাংলাদেশের কি অবস্থান।
Discussion about this post