বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক হচ্ছে। গণ অভ্যুত্থান হয়েছে বাংলাদেশের। গঠিত হয়েছে তদারকি সরকার। যার প্রধান নোবেলজয়ী মহম্মুদ ইউনূস। স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু আদেও তদারকি সরকারের আমলে কতাট দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির পর নতুন করে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পথে নেমে আন্দোলন করছেন সংখ্যালঘুরা। প্রতিবাদ, মিছিলে মুখরিত গোটা দেশ। এরমধ্যেই খবর আসছে গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক সাংবাদিককে। বহু সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে অন্তবর্তী সরকার। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সাংবাদিকদের তরফে। পাশাপাশি এই অভিযোগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সংগঠন।
এইবার সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানানো হয়েছে, সাংবাদিকদের জন্য সব থেকে বিপ্দজনক দেশের নামের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশেরও।
সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে যাতে কাজ করতে পারে, তার জন্য প্রত্যেকটা দেশের সাংবাদিক সংগঠনের তরফে বিষয়টি দেখা হয়। এর মধ্যে আন্তজার্তিক সংগঠন রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডাস প্রতিবেদন বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে গোটা বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন। তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশের। ওই সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনকি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে সবথেকে বিপদজনক দেশের নামের তালিকায় রয়েছে প্যালেস্টাইন।
প্রসঙ্গত, গোটা বাংলাদেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তজার্তিক মহলে। প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছে ইউনূস প্রশাসন। পাশাপাশই বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের বৈঠকও হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বাাংলাদেশের তদারকি সরকারকে। কিন্তু তারপর পরিস্থিতির বদল নেই। বরং সেখানে চলছে ভারত বিরোধী স্লোগান। ভারতের সহ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তিক্ততার কাজ চালাচ্ছেন কিছু মৌলবাদি সংগঠন তা কার্যত স্পষ্ট। এদিকে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর আরও বাড়ছে। সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত। প্রকাশ্যে আসছে তা থেকে বোঝায় যাচ্ছে, কতটা প্রাণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। এদিকে জামিন মঞ্জুর হল না চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের। ফলে পরিস্থিতি একেবারেই আয়ত্তের বাইরে সরকারের। তবে কেন সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তারমধ্যেই সামনে আসছে সাংবাদিকদের উপর অত্যাচারের খবর। যা ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে।
একটি রিপোর্টে এও বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেও সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের মতে, সাংবাদিকদের বেছে বেছে টার্গেট করা হয়নি। গণ অভ্যুত্থানের খবর সেন্সর করা এবং পাশাপাশি এই খবর যাতে প্রকাশ্যএ না আসে সেই লক্ষ্য নিয়েই আক্রমণ করা হয়।
এমনকি জানা যাচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পরও একাধিক সংবাদমাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে। সাংবাদিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছেন তারা।
Discussion about this post