বাংলাদেশের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণ অভ্যুত্থান হয়েছে পড়শি দেশে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। তারপর গঠিত হয় তদারকি সরকার। প্রধান হয়ে ক্ষমতায় বসেন নোবেলজয়ী মহম্মুদ ইউনূস। সরকার বদলের কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচারের অভিযোগে আন্তজার্তিক মহলে প্রবলভাবে সমালোচিত ইউনূস। বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক দেশগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরে সাংবাদিকদের জন্য বিপদজনক ৯টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডারসের। আর সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশও। অর্থাৎ বোঝায় যাচ্ছে, কতটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সেখানে। প্যালাস্টাইন রয়েছে সবার প্রথমে। তালিকার পরেই রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশের নাম। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই দেশগুলি প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে গোটা বিশ্বে।
একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সেখানে ভয়ানক অভিযোগ উঠে এসেছে।বহু সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে অন্তবর্তী সরকার। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সাংবাদিকদের তরফে। পাশাপাশি এই অভিযোগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সংগঠন।
এইবার সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানানো হয়েছে, সাংবাদিকদের জন্য সব থেকে বিপ্দজনক দেশের নামের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশেরও।
সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে যাতে কাজ করতে পারে, তার জন্য প্রত্যেকটা দেশের সাংবাদিক সংগঠনের তরফে বিষয়টি দেখা হয়। এর মধ্যে আন্তজার্তিক সংগঠন রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডাস প্রতিবেদন বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। একটি তথ্যে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে গোটা বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছে ৫৪ জন। তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশের। ওই সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে কার্যত স্পষ্ট, শুধুমাত্র সে দেশের সংখ্যালঘুরা নন, সাংবাদিকরাও নীপিড়িত হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গোটা বাংলাদেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তজার্তিক মহলে। প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছে ইউনূস প্রশাসন। পাশাপাশই বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের বৈঠকও হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বাাংলাদেশের তদারকি সরকারকে। কিন্তু তারপর পরিস্থিতির বদল নেই। বরং সেখানে চলছে ভারত বিরোধী স্লোগান। ভারতের সহ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তিক্ততার কাজ চালাচ্ছেন কিছু মৌলবাদি সংগঠন তা কার্যত স্পষ্ট। এদিকে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর আরও বাড়ছে। সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত। প্রকাশ্যে আসছে তা থেকে বোঝায় যাচ্ছে, কতটা প্রাণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন সে দেশের সংখ্যালঘুরা। এদিকে জামিন মঞ্জুর হল না চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের। ফলে পরিস্থিতি একেবারেই আয়ত্তের বাইরে সরকারের। তবে কেন সরকার থেকে কোনও পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তারমধ্যেই সামনে আসছে সাংবাদিকদের উপর অত্যাচারের খবর। যা ক্রমশ ভয় ধরাচ্ছে।
Discussion about this post