বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তারপর কেটেছে বেশ কয়েকটি মাস। গঠিত হয়েছে অন্তবর্তী সরকার। যার ক্ষমতায় নোবেলজয়ী মহম্মুদ ইউনূস। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারে দিন দিন আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে কার্যত সমালোচিত হতে হচ্ছে এই সরকারকে। এদিকে বাংলাদেশের বাজার মূল্যের দামও আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে রাশ টানতে পারছেন না তদারকি সরকার। আলু, পেঁয়াজ-সহ একাধিক জিনিসের দাম বাড়ছে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।
এরমধ্যে সামনে এল তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবর। যা প্রতি লিটার ৮ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশে সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৫ লিটার সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৮৬০ টাকা ও খোলা পাম তেলের গাম ১৫৭ টাকায় রাখা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত নাভিশ্বাস উঠছে। কীভাবে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সংসার চলবে, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সে দেশের বহু মানুষ। তেল ছাড়াও আলাুর দামও পাল্লা দিয়ে বড়েছে সেখানে। আলু রফতানিতেও প্রবল ভাবে চাপে পড়েছে সে দেশের সরকার। এই নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এখটি উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, বাজারে ঢুকবে নতুন আলু। তারফলে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি খানিকটা কমবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আলু নিয়ে বাজারগুলিতে প্রবলভাবে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তা থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে। তা দিতে পারে বাজারে নতুন আলু এলে। মাত্র আর ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। নতুন আলু এলেই আলুর দাম একটি জায়গায় চলে আসবে। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ইউনূস যে দেশ চালাতে ব্যর্থ তা নিয়ে অভিযোগ করছেন। অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারই ভাল ছিল। অন্তত মানুষের সবথেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল। ক্রমশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। এই ধরণের কথা থেকে পরিত্রাণ পেতেই দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধিতে রাশ টানতে তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে ইউনূসের থেকে। যা কার্যত স্পষ্ট। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে প্রবলভাবে। তবে শুধুমাত্র অভিযোগই নয়, তারসঙ্গে সামনে আসছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট। যা ভয় ধরাচ্ছে। তারপর সদ্য সামনে এশছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে। সেই তালিকায় দেখেও অনেকে ভয় পাচ্ছেন। সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডেটশন কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, সে দেশের অন্দরে অরাজকতার খবর আন্তজর্জাতিক মহল পর্যন্ত যাতে না পৌঁছয়, সেই কারণেই রাশ টানা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক সাংবাদিক এই নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।
এদিকে দিনে দিনে বাংলাদেশের বাজার অগ্নিমূল্য হচ্ছে। আপাতত সাধারণ মানুষকে শান্ত রাখার জন্য দ্রব্যমূল্য রুখতে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Discussion about this post