রাশিয়ার সঙ্গে ভারতীয় কোম্পানিগুলি মিলে রংপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরী করছিল। তাই ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে বদনাম করতে গিয়ে, রাশিয়ার সরকারী সংস্থাকেও অভিয়োগের আওতায় নিয়ে আসে ইউনূস সরকার। আর এখানেই চটেছে রাশিয়া। তারা রীতিমত ঘোষনা করছে যে, রাশিয়া সরকার কোন দূর্ণীতিকে পশ্রয় দেয় না, এবং তারা যে কাজে যুক্ত সেখানে অন্য কাউকেও দূর্ণীতি করতে দেয় না। এবং এবিষয়ে তারা আদালতে যেতে প্রস্তুত। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ভারতকে বদনাম এবং বিশ্বের দরবারে ছোট করতে গিয়ে রাশিয়াকেও চটিয়েছে বাংলাদেশ। এখন রাশিয়া কিভাবে এর বদলা নেয়, তা বাংলাদেশ বুঝতে পারছে না। অন্যদিকে আমেরিকাতে বাইডেন সরকার তার সত্তা হারিয়েছে, জানুয়ারীর শেষে অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারী আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ট্রাম। আর ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্ক যতটা খারাপ, মোদিজির সঙ্গে তাতটাই ভালো। এখন ইউনূসের অবস্থা সাপে হাতি গেলার মত।
আসলে বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকেই অনুভব করছিল তাদের কাছে নিজস্ব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকলে, তারা ভবিষ্যতে ভীষন বিপদে পড়বে। কারণ তারা তাদের আশেপাশের দেশ যেমন ভারত নেপাল থেকে বিদ্যুৎ সরাবরাহ পেয়ে থাকে। কিন্তু নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। তখন তারা চিনের সঙ্গে হাত মেলায়, এবং আজ যেখানে রাশিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরী করছিল, সেই রংপুরে চিনের সহযোগীতায় পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরীর জন্য চুক্তি করা হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিপদ অনুভব করে ভারত এবং আমেরিকা। কারণ ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক খুবই খারাপ, সেই চীন যদি ভারতের নাকের ডগায় বসে, তাদের পতিপত্তি এবং ক্ষমতার বিস্তার ঘটায়, তাহলে তা ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আর আমেরিকার সব থেকে বড় শত্রু চীন, আমেরিকা এশিয়াতে তার পরিচালকের পদ খোয়াতে পারে যদি চীন বাংলাদেশে তাদের বিস্তার ঘটায়। কারণ আমেরিকা বরাবর চাইছে বাংলাদেশ এবং ময়ানমারের মাঝামাঝি একটি নতুন দেশ হোক, যা বকলমে আমেরিকারই প্রতিরূপ হবে। বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে হাসিনা আমেরিকার এই প্রস্তাব কখনই সমর্থন করেননি। তবে অজ্ঞাত কারণে চীন বাংলাদেশের পরমাণু চুক্তি ভেস্তে যায়। এবং সেখানে প্রবেশ ঘটে রাশিয়ার। রাশিয়া বাংলাদেশকে বলে, আমরা শুধু পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানিয়ে দেব তাই নয়। যা খরচ হবে তাও আমারাই বহন করব। এবং যেহেতু এটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প হবে, তাই যখন ঐ বিদ্যুৎ বন্টন এবং বিক্রয় হবে, তখন ঐ মুনাফার একটা অংশ আমরা নিয়ে, আমাদের যে পরিমান বিনিয়োগ হবে তার ব্যয় পূরণ করব। রাশিয়া দুটি চুল্লি বসানোর চুক্তি করেছিল, যার একটি ২০২৫ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোন একটি দেশ চাইছিলনা যে এখানে রাশিয়া তাদের ঘাঁটি শক্ত করুক। তাই ২০২৫ এর আগেই হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এবং তাদের হাতের পুতুল সরকার তৈরী হয়। সেই পুতুল সরকারের প্রধানেরা এসেই বলে রংপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করতে গিয়ে অনেক টাকার নয় ছয় হয়েছে। এবং অনেক টাকা হাসিনা সরকার নিজেদের অ্যাকান্টে সরিয়ে নিয়েছে, তাই তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। আসলে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতীয় কোম্পানিগুলি মিলে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরী করছিল। তাই ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে বদনাম করতে গিয়ে, রাশিয়ার সরকারী সংস্থাকেও অভিয়োগের আওতায় নিয়ে আসে ইউনূস সরকার। আর এখানেই চটেছে রাশিয়া। তারা রীতিমত ঘোষনা করছে যে, রাশিয়া সরকার কোন দূর্ণীতিকে পশ্রয় দেয় না, এবং তারা যে কাজে যুক্ত সেখানে অন্য কাউকেও দূর্ণীতি করতে দেয় না। এবং এবিষয়ে তারা আদালতে যেতে প্রস্তুত। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ভারতকে বদনাম এবং বিশ্বের দরবারে ছোট করতে গিয়ে রাশিয়াকেও চটিয়েছে বাংলাদেশ। এখন রাশিয়া কিভাবে এর বদলা নেয়, তা বাংলাদেশ বুঝতে পারছে না। অন্যদিকে আমেরিকাতে বাইডেন সরকার তার সত্তা হারিয়েছে, জানুয়ারীর শেষে অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারী আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ট্রাম। আর ট্রাম্পের সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্ক যতটা খারাপ, মোদিজির সঙ্গে তাতটাই ভালো। এখন ইউনূসের অবস্থা সাপে হাতি গেলার মত। তবে ভারত কখনই চাইবে না বাংলাদেশ, যাকে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা দান করেছে, তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে। তবে যারা এখন বলছে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ ভুল ছিল, ভারত পাকিস্তানকে ভাগ করার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে, তারা নিজেদেরকে ছাত্র বলে কিভাবে তা বোধগম্য নয়, বাংলাদেশের নাগরিকদেরই। কারণ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলোন থেকেই, বিশ্ব পেয়েছে মাতৃভাষা দিবস। অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন করেছে সারা বিশ্ব।আর মুক্তিযুদ্ধ-তার ইতিহাস বিশ্বের যে কোন যুদ্ধের থেকে ভংঙ্কর।লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুতে রাঙানো ইতিহাস,যা জানে না আজকের বাংলাদেশের তথাকথিত ছাত্র সমাজ। যারা ২০২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন স্বাধীনতা এনেছে।
Discussion about this post