বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলনের জয়। গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়তে হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বদের। পালিয়ে যেতে হল প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। গঠন করা হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এবং প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস। সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি আর্থিক পরিস্থিতি। দেশের উন্নয়ন এবং সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের স্বার্থে বিশাল পরিমাণ ঋণের ভার এখন বাংলাদেশের উপর। অর্থাৎ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ছাড়লেও পিছু ছাড়েনি আন্তর্জাতিক ঋণের ভার। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনের জন্য কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ এখন ভাঁড়ের তলানিতে। ছয় বছরে প্রায় ১৬০০ কোটি ডলার সঞ্চয় সর্বনিম্ন। বাংলাদেশের এই দুর্যোগের সময় ঢাকাকে চাপ সৃষ্টি করছে রাশিয়া, তাদের বকেয়া ফেরত পেতে। এই ঋণের লিস্ট অনেকটাই মোটা অংকের।
বাংলাদেশের ঋণ রয়েছে জাপানের থেকে ৯২১ কোটি, রাশিয়ার থেকে ৫০৯ কোটি,
চীনের থেকে ৪৭৬ কোটি, ভারত থেকে ১০২ কোটি ডলার। এবং ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঋণ রয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। অন্যদিকে আদানির থেকে 80 কোটি ঋণ এবং ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য ঋণ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এমনটাই খবর।
এই দুশ্চিন্তার মাঝেই বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তি সরকারের সাথে বৈঠক করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মারকিং কূটনীতিক ডোনাল্ড লু, এবং তিনি কুড়ি বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক , আই এম এফ ও ওডিবির থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ পেলেও তাদের বড় অংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বলা চলে ঋণের চাকার নিচে চাপা পড়ে বাংলাদেশ, ঠিক যেভাবে ভারতের প্রতিবেশী একটি দ্বীপ রাষ্ট্রর অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় সরকার ভেঙে পড়ে। ঠিক সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এমনটাই বিশেষজ্ঞদের ভাবনা। যেই দেশে মুক্ত করতে আন্দোলনে হারিয়েছে হাজারো মানুষের প্রাণ সেই দেশ মুক্তি পাওয়ার পর আবারও শিকলবন্দীর দিকে এগোচ্ছে।
Discussion about this post