৫ই আগস্ট সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন—“আমি সব দায়িত্ব নিচ্ছি।” সেই বক্তব্যে অনেকেই ভেবেছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার পর থেকে মব খুন, চাঁদাবাজি ও অরাজকতা বেড়েই চলেছে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেনাপ্রধান চাইলে আইনশৃঙ্খলা এই অবনতি তিনি রুখতে পারতেন। তিনি যদি দেশপ্রেমীক হতেন তাহলে নরমে অথবা গরমে তিনি এই জুলাই পরবর্তী, জুলাই যোদ্ধাদের মব ঠেকাতে পারতেন। প্রয়োজনে তিনি ক্ষমতা হাতে নিয়ে ভোট করিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর করাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। পিছনের কারণ তো একদিন প্রকাশ পাবেই ততদিনে বাংলাদেশ শুধু গৃহযু্দ্ধ নয়, একটা মহাযুদ্ধের সম্মুখীনও হতে পারে। যেভাবে বাংলাদেশ ভারতকে উত্তেজিত করছে, সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান করছে,তাতে কতদিন ভারত সংযম দেখাবে তা বলা মুশকিল। তবে সব দিক বিচার করে ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। যাতে যে কোন পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়া যায়। তবে ভারতের সঙ্গে যু্দ্ধ না হলেও গৃহযুদ্ধের পথে বাংলাদেশ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারা নিজেদের দেশের সেই সব সংবাদ মাধ্যমে আগুন দিচ্ছে, যে সংবাদমাধ্যমগুলি জুলাই আন্দোলোনে তাদের সমর্থন করেছিল। হাদির মৃত্যুর জন্য ভারতের দিকে আঙ্গুল তুলছে, আর সেই হাদিই শুধু ভারত বা আওয়ামীলীগকে নয়, বিএনপি জামাত এবং এনসিপিকেউ সমালোচনায় ধুয়ে দিয়েছে, তো ভোটে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললে তারা কি ছেড়ে দেবে। এখানে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আসল ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা মানুষের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ফলে
রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিনই নতুন করে সংঘর্ষের খবর আসছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বাজারে চাঁদাবাজি, রাস্তায় দাঙ্গা, এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটছে সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। হাদির মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তার মৃত্যু সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে উসকে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে, আর বিরোধী পক্ষ বলছে—এটি প্রমাণ করে যে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
এদিকে অরাজকতার প্রভাব পড়েছে কূটনৈতিক মহলেও। উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হামলার পর দূতাবাস বন্ধ হয়ে গেছে, ভিসা অফিসও কার্যক্রম স্থগিত করেছে। অন্যান্য দেশও নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সেনাপ্রধান দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা দাবি করছে, সেনাবাহিনী শুধু ক্ষমতা প্রদর্শন করছে, কিন্তু জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেনাপ্রধানের ঘোষণাটি ছিল ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল। কিন্তু বাস্তবে তা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। বরং প্রতিদিনের অরাজকতা প্রমাণ করছে যে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়ছে।
আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলো বলছে, বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
অর্থনীতিতেও ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। শেয়ারবাজার ধস নেমেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অর্থ তুলে নিচ্ছে, আর রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের মুদ্রার মান কমে গেছে, ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে।সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সেনাপ্রধানকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণার পরও তার নীরবতা এবং অনুপস্থিতি জনগণের মধ্যে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যদি দ্রুত সমাধান না আসে তবে এই অরাজকতা গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। আর তাতে দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post