যেন বিক্ষোভ আন্দোলনের নতুন সংজ্ঞা লিখছে বাংলাদেশ। কারণ সে দেশে বিক্ষোভ আন্দোলন মানেই লুটপাট তারপর অগ্নিসংযোগ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই গণভবনের দখল নিয়ে বেপরোয়া লুটপাট চালায় উন্মত্ত জনতা। সেবার চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অন্তর্বাস পর্যন্ত লুট করে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল আন্দোলনকারী উন্মত্ত জনতা। এবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। শুক্রবার সকালেও ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। আসলে হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে হিংসার আগুন। যে আগুনে পুড়ে ছাই সে বাংলাদেশের বিভিন্ন ভবন। কোথাও আওয়ামী লীগের কার্য়লয়, তো কোথাও সংবাদপত্রের দফতর আবার কোথাও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশের ছাত্র-যুবরা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু করে তাণ্ডব। প্রথমেই তাঁরা বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্র-জনতা। পরে একাধিক ভাইরাল ফুটেজে দেখা যায়, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে ঢুকে কম্পিউটার থেকে শুরু করে ফুলকপি, কোল্ড ড্রিংস যা পেরেছে তাই লুট করেছে জনতা। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল গত বছরের ৫ আগস্ট গণভবনে লুটপাটের পর।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে ধানমণ্ডির মুজিবের বাড়ি, ভারতীয় দূতাবাস, ছায়ানট, আওয়ামী লীগের অফিসেও হামলা হয়। উত্তেজিত জনতা চট্টগ্রামে খুন করে এক সাংবাদিককে। এক সংখ্যালঘু যুবককেও হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে। অভিযোগ, তঁকে কার্যত জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে। আসল কথা হল, এই এক রাতে বাংলাদেশে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সনজ়ীদা খাতুন এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় কীর্তি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। দেখা গেল সেখানেও হামলা ও ভাঙচুর, লুটপাট হয়। আগুনের লেলিহান শিখা ছায়ানটকে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান দুই বাংলার সঙ্গীতশিল্পীদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। মাটিতে আছড়ে ফেলা হয়েছে তবলা, হারমোনিয়াম। সবই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়, সমাজমাধ্যমে এই সব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে একটাই তত্ত্ব উঠে আসছে, ওসমান হাদির মৃত্যুর পর যে বিশৃঙ্খলতা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ জুড়ে, তা নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ, এর পিছনে নিষ্চই কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা তাহলে কি?
এই প্রতিটি হামলার পিছনেই কোনও না কোনও ভাবে রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। এরমধ্যে খবর এসেছে, চট্টোগ্রামে ডেপুটি হাই-কমিশনারের বাসভবনের উপর হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেই দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। ঢাকা, চট্টগ্রাম,খুলনা বিভিন্ন জায়গায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে যে সমস্ত ভারতীয় অফিসাররা রয়েছেন তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দিকে নজর রাখছে নয়া দিল্লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফরে ছিলেন এবং তিনি ফিরছেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও বেগতিক হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে ভারত।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post