বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আমেরিকা সফরে গিয়েছেন। হঠাৎ তার আমেরিকা সফর ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি আমেরিকাতে একাধিক শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর। সূত্র মারফত খবর, রোহিঙ্গা এবং মায়ানমার ইস্যুতে নাকি আলোচনা হয়েছে। তবে কি ফের করিডোর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ? তবে কি মহম্মদ ইউনূসের সরকার করিডোর ইস্যুতে পিছু হটেনি? তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরম ঘোট পাকতে চলেছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান নানাভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডন সফরে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করা নিয়ে নানা সমালোচনা উঠে এসেছিল। যদিও বিএনপিও সমালোচনার শিকার হয়েছিল। এখন তিনি আমেরিকা সফরে। এমনিতেই সম্প্রতি লক্ষ্য করা গিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন করে একটি সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আমেরিকাকে উদ্যোগী বলে মনে হচ্ছে। জাতিসংঘকে সামনে রেখে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে। উল্টো দিক থেকে, দেশ বিপদে পড়তে পারে জেনেও বাংলাদেশের তদারকি সরকার সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে গ্রহণ করতে সচেষ্ট। সেই কারণেই কি আমেরিকা সফরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা? আরও একটি বিষয় হল, পররাষ্ট্র বিষয়ক বিষয় তো পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেখা উচিত।
সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা কেন? এটা নিয়েও সুর চড়াচ্ছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট তথা পররাষ্ট্র দফতরে মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তার সঙ্গে নাকি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার নানা ঘটনাপ্রবাহ ছাড়াও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন। জানা গিয়েছে, এদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে ইউনূসের প্রশংসা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কেন করিডোর বা দেশের যে কোনও বিষয়ে মহম্মদ ইউনূস খলিলুর রহমানকে এগিয়ে দিচ্ছেন? কারণ তিনি তো বিতর্কিত একজন ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি আমেরিকার নাগরিক। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে, তিনি জানান, আমি আমেরিকার নাগরিক হলে, তারেক রহমানও বিদেশের নাগরিক। আর সেই ব্যক্তিকেই দেশের সমস্ত কাজে ভরসা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কি তার অনুষ্পস্থিতে খলিলুর রহমান সমস্ত দায়িত্ব নেবেন বাংলাদেশের? অন্যদিকে যে করিডোর ইস্যু এত বিতর্কিত, সেনাপ্রধান থেকে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি দ্বিমত পোষন করেছিল, সেখান থেকে সরকার আদেও সরে আসবে নাকি বিষয়টিকে আমল দেবেন, সেটাই দেখার। পাশাপাশি তিনি আমেরিকা সফর করে আসার পর দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা আসে কিনা, সেটাই দেখার।
Discussion about this post