যতদিন যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছে। ভারতের বিরুদ্ধে নানাভাবে ছক কষছে বাংলাদেশ। প্রয়োজনে পাকিস্তান, চিনের স্মরণাপন্ন হচ্ছে পড়শি দেশ। ভারতকে নজর রাখতে বাংলাদেশের গোপন ড্রোন। এমনটাই খবর উঠে আসছে। মেঘালড়ের আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কিছু চালকবিহীন রেডার ধরা পড়ছে। এমনটাই খবর বিএসএফ সূত্রে। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চাতক ও সুনামগঞ্জের উত্তরাঞ্চলে ডিরো পয়েন্ট থেকে দুশো মিটার দূরে এঘুলো উড়ছিল। মনে করা হচ্ছে ড্রোনগুলি বাংলাদেশেরই। কারণ সেগুলি মাঝে মধ্যে বাংলাদেশ পার হয়ে যাচ্ছিল। দু দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে ড্রোনের সীমানা লঙ্ঘন চেষ্টার অভিযোগ উঠছে আন্তর্জাতিক মহলে।
এসএফ সূত্রে খবর রয়েছে, এই আকাশযানগুলির মধ্যে একটি নম্বর টিবিটুআর ১০৭১। জানা গিয়েছে, তেজগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে এটি ওড়ানো হচ্ছিল। এই ড্রোনগুলি ভারতীয় বিএসএফের তরফে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এগুলি এত উঁচু দিয়ে উড়ছে যা খালি চোখে দেখা প্রায় সম্ভব নয়। এই বিষয়ে মেঘালয়ের ডিজিপি বিমানবাহীনির সঙ্গে কথা বলেছে। এগুলি বাংলাদেশের নজরে আতে পারে। তবুও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা ৪৪৩ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে বলে বিএসএফের কর্তার দাবি রয়েছে।
মেঘালয় সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন দেখা যেতেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তবে কি সত্যিই ইউনূস ভারতের সঙ্গে যুদ্ধা চাইছে? তার কারণ বারবার নানা কৌশলে ভারতকে যুদ্ধ বাধাতে প্ররোচনা করছে বাংলাদেশ। নাহলে মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে এখাধিক ড্রোন ওড়ানোর কারণ কি? কি চাইছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার? বোঝার চেষ্টা করছেন কূটনৈতিক মহল। অন্যদিকে, এই ধরণের ঘটনার সন্মুখীন হলে কি করণীয় সেই নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে।
এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। অরজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে্, সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। উদ্বিগ্ন ছিল ভারত। বারবার সে দেশের সরকারকে বার্তা দিয়েছে। কিন্তু কর্ণপাত করেনি সরকার। বরং বলা হয়েছিল, ভারত গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়ো খবর পরিবেশন করছে গোটা বিশ্বকে। কার্যত অস্বাকীর করে ইউনূস প্রশাসন। যদিও এখন সেই অরজকতার কথা স্বীকার করে নেন পড়শি দেশের সরকার। কিন্তু পরিস্থিতি বদল হচ্ছে কোথায়?ল যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যম থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের বয়ান সামনে আসছে তাতে করে শুধুমাত্র ভারতই নয়। উদ্বিগ্ন অন্যান্য দেশগুলিও।
সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, ভারত বিরোধী স্লোগান উঠছে বাংলাদেশে। তার উপর এইবার ভারতের মেঘালয় সীমান্তে বাংলাদেশী ড্রোন। যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন মাথাচারা দিচ্ছে। যদিও সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ভারত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। উন্নত ধরণের সরঞ্জামও প্রস্তুত। কিন্তু বাংলাদেশের মটিভ কি, সেটাই বড় প্রশ্ন চিহ্ন।
Discussion about this post