ইনকিলাব মঞ্চের মূল কারিগর শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয় ওঠে বাংলাদেশ। শাহবাজ থেকে রাতেই একটি মিছিল বের হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল, সংবাগমাধ্যম প্রথম আলোর দফতর। সেখানে বিক্ষোভ চলতে চলতে চলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। শুধু প্রথম আলো নয়, ডেইলি স্টারের দফতরে চলে ব্যাপক হামলা। রাতের পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত রয়েছে তার রেশ। এমনকি অনেকে বলছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার একটি চক্রান্ত চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা চরম প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের এই উত্তেজক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। গত বছরের পর ফের অশান্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ। এমনকি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর এই হামলার ঘটনা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
মধ্য রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। শাহবাজ থেকে একটি মিছিল প্রথম আলোর দফতরের দিকে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়ে ফিরে যায়। ফের তারা এসে বিক্ষোভ দেখায়। অনেককেই প্রশ্ন তুলছেন, ওসমান হাদির মৃত্যুর সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পর্ক কি? অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, প্রথম আলো ভারতীয় আধিপত্যবাদ এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সেই কারণেই প্রথম থেকেই ক্ষোভ বেড়েছিল। এখন হাদির মৃত্যু ঘটতেই চরম আকার ধারণ করে পরিস্থিতি। সেই ক্ষোভ থেকেই মূলত এই ছবি বাংলাদেশে। যখন তাণ্ডব চলছে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে, যখন হামলা হয় চরম আকারে, তার কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী পৌঁছয়। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের একটি বিষয়। সেনাবাহিনী কি ইচ্ছাকৃত আসতে দেরি করল? প্রশ্ন তুলঠেন অনেকে। জানা যায়, যখন সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে প্রবলভাবে আগুন জ্বলছে, বাইরে তাণ্ডব চলছে, তখন বহু সাংবাদিক আটকে পড়েন। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দমকল ডেকে আগুন নিভিয়ে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে। টকে পড়া সাংবাদিকরা পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক জুলকারনাইন সাহের এখটি ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, তুখোড় ছাত্রনেতা ওসমান হাদির আত্মত্যাগকে পুঁজি করে যারা নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, আপনাদের তাদের প্রত্যেককে চিনি রাখা উচিত। আজকে হোক বা কালকে, এরাই আপনার দেশকে নরম বানিয়ে ছাড়বে। যারা ধ্বংসাত্ব কার্যকলাপের মদত দেয়, তাদের উদ্দেশ্য কখনওই সৎ হতে পারে না। ভারতের আধিপত্যবাদ ঠেকাতে নিজ দেশের জনগণের সম্পদ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ— এসব কোনও বোধসম্পন্ন নাগরিকের কাজ হতে পারে না। যারা হাদির রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করতে পারে, তারা কাল আপনার বা আমার রক্তের ওপর দাঁড়িয়েও একই কাজটা করবে। এরমধ্যে আরও একটি উদ্বেগের বিষয় হল, খুলনায় এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। এমনকি ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ফের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর চালায়। জানা যায়, রাজশাহীতেও মুজিবের অপর একটি বাড়ি এবং আওয়ামী লীগের দফতর ভাঙচুর করা হয়। এমনকি বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের উপ দূতাবসেও চলে হামলা। রাতভর বিক্ষোভ চলে। এক রাতেই যেন বিভিষিকা হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অথচ সরকার, প্রশাসন নিশ্চুপ। এতো হামলাকারীদের সমর্থন করার রূপ দেখা যাচ্ছে। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কি আদেও কাঙ্খিত? হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে আবেগের বশে বাংলাদেশ আরও একবার নৈরাজ্যে পরিণত হল, যে রূপ বাংলাদেশ দেখালো গোটা বিশ্বকে, এর দায় কার! উঠছে প্র
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post