ইট মেরেছে বাংলাদেশ। আর তার সমুচিত জবাব দিল ভারত। বাংলাদেশ প্রথমে এই অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু সাউথব্লক যে পাকাপোক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনও অভিযোগ তোলে না, সেটা এই ঘটনা থেকে আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। আইসিজির ডেপুটি কমান্ডেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশের নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজের টুকরো, লেগে থাকা রং প্রমাণ হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই খবর নিশ্চিত করেছেন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র।
যদিও এখনও পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে টহলদার জাহাজ দিয়ে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ নৌসেনা। সে দেশের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দফতরের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিদুল্লাহ চৌধুরী এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ‘সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জডি়য়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশে ফৌজের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার ট্রলার পারমিতা-১০ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার সময় তাদের নৌসেনার টহলদার জলযান ছিল ১২ মাইলেরও বেশি দূরে ছিল। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “সোমবার (১৫-১২-২০২৫) বাংলাদেশ সময় ১৫১৫ ঘটিকায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) থেকে মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, ঢাকাকে ই-মেল এর মাধ্যমে জানানো হয় যে, পারমিতা-১০ নামে একটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় জলসীমায় ১৬ জন জেলে-সহ ডুবে গিয়েছে। ভারতীয় অপর একটি মাছ ধরার ট্রলার আইএফবি রঘুপতি কর্তৃক এ পর্যন্ত পারমিতা-১০ এর ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
পাল্টা বিবৃতি জারি করে ভারত। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় উপকূলরক্ষীদের তরফেই ডুবে যাওয়া ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে বাংলাদেশি নৌসেনার সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। ভারতীয় এমআরসিসি থেকে ই-মেল পাওয়ার পরে পরেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজকে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ ভারতীয় কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশের স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ধরনের উদ্যোগ কেবল মানবিক দায়িত্ব পূরণ করে না। বরং প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সমঝোতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। ’ এবার ভারতীয় মৎস্যজীবীদের থেকে পাওয়া প্রমাণ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ায় তাদের এবার মুখ পুড়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে পদ্মার এপারের থাকা মৎস্যজীবীদের।
যদিও সুন্দরবন জেলাসূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের নৌসেনার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ায় ভারতীয় উপূকূলরক্ষী বাহিনী তাদের তাড়া করে। বাংলাদেশের জাহাজটি তখন ভারতীয় জলসীমা ছেড়ে চলে যায়।
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘সেই অর্থে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। ’ রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে বাংলাদেশের নৌসেনার জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের। তাদের জোরাল দাবি, বাংলাদেশ নৌসেনার জাহাজের ধাক্কাতেই ডুবেছে পারমিতা – ১০
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post