আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি গুরত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। পাকিস্তানের সেনাকর্তারা নাকি বাংলাদেশে যাবেন। তারা নাকি বাংলাদেশের সেনা বাহিনীকে ট্রেনড করবেন। এরকমই একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারিভাবে দুই দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আর্মি চিফ এবং আর্মি কর্তারা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ট্রেনড করবেন। পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস সাহির শামশাদ মির্জা বাংলাদেশে সেনা অ্যাকাডেমিগুলিতে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। তবে কি পাকিস্তান যুদ্ধ চাইছে? ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে কি কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে দেশটি?
বিশ্বের বহু দেশ উদ্বিগ্ন। কেন পাকিস্তান এইভাবে বাংলাদেশকে দিনের দিনের পর ভারত বিদ্বেষী মনোভাব জাগিয়ে তুলছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে গলায় গলায় ভাব করতে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানকে। এমনকি যুদ্ধাস্ত্রও যে জোগান দিচ্ছে তারা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি, পাকিস্তান থেকে বেশ কিছু জাহাজ দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের বন্দরে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কন্টেনার। যা নিয়ে প্রবল শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে উল্লেখযোগ্যবাবে পাকিস্তানের অবস্থা বিশ্বের দরবারে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এমনকি জাতি সংঘের বিশ্বের একাধিক দেশ পাকিস্তানকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে স্বয়ং আমেরিকাও প্রশ্ন তুলেছে। তারমধ্যে প্রায় ৫০ বছর পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মাটিতে যাওয়া একটি তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অভ্যান্তরে একাধিক জ্বলন্ত সমস্যা রয়েছে। যেমন তাদের জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে তদারকি সরকার ওয়াকিবহাল থাকলেও কোনওরকম লাগাম টানছে না। যা নিয়ে দেশের মানুষের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছে। এছাড়াও সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এটি প্রায় মাসের পর মাস ধরে চলছে। কিন্তু সেগুলি না মিটিয়ে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে তৎপর সরকার। তারমধ্যে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আরাকান আর্মিদের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তা ক্রমশ বাংলাদেশকে চিন্তায় ফেলার মতো। কিন্তু সেসব দিকে দেশটি নজর না দিয়ে যুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করছে।
এরমধ্যে বেশ কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। ১৯৭১ সালে যে ইস্যুগুলি রয়েছে সেগুলিকে রিজাভ করবেন। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, স্বাধীনতার ইতিহাসে ইস্যু তুলে সমাধান করা মানে তো দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। তাহলে কি সেটাই করতে চাইছে ইউনূস? তবে যুদ্ধে প্রাণ যাওয়া একাধিক সেনা, শেখ মুজিবরের হত্যা সবই অস্বীকার করতে চাইছে দেশটি। তারমধ্যে দু দেশের সরকারি বিবৃতি কার্যত শোরগোল ফেলেছে। পাকিস্তানের সেনা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ট্রেনিং দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে চাইছে। যদিও তা নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই ভারতের। ভারত যেভাবে রণসজ্জায় সজ্জিত তাতে পাকিস্তান-বাংলাদেশকে যৌথভাবে নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতা রাখে। ভারতের শক্তি বিষয়ে ওয়াকিবহাল দুই দেশই। এখন দেখার, আদেও তার মিশন কতটা ফুল ফিল হয়।
Discussion about this post