পাকিস্তানের এখন ছন্নছাড়া পরিস্থিতি। ভারতের আক্রমনের ফল এখন তারা টের পাচ্ছে। আর সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যেভাবে ঘটনার ঘনঘটা চলছে, তাতে কিছু একটি ঘটতে চলেছে বাংলাদেশে, সেটা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই পাকিস্তানকে তারা সমর্থন করে ভারতের নিশানায় রয়েছে। এদিকে বাংলদেশে একটি ষড়যন্ত্র চলছে। জানা যাচ্ছে, ৭২ এর সংবিধানকে বদল করার ছক কষা হচ্ছে। পরিবর্তে জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে একটি সংবিধান তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। আর সেটা করতে গেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেনাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আজ সেই কাজটাই মহম্মদ ইউনুস চুপিসারে করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটি ধরা পড়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১১ ই মে মোঃ ইউনুস চুপিসারে পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দরবারে। সেখানে গিয়েই মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দেওয়ার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এমনকি একটি চিঠিও দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। আর সেই চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে তিনি বাহিনীর প্রধান দেখা করতে যান বলে খবর। আর সেখানেই আলোচিত হয়, দেশের মানুষ এখনও সেনাবাহিনীর ওপরই আস্থা রাখছে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্য করা যায় ঢাকার সেনানিবাসে 46 ব্রিগেডকে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই খবর, সেনাপ্রধান সেনা নিবাসে ফিরে গিয়ে ৭ জেনারেল কর্নেলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। এবং তাদের সক্রিয় করা হয়।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে বন্দী করা বা তাকে আটক করা বা তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে আপাত প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় লেফটেন জেনারেল এবং আর্ম ফোর্সের হেড কামরুল হাসান। তিনি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান করে। আর তখনই খবর, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার আমেরিকা যাচ্ছিলেন সফরে। কিন্তু সেই সফর বাতিল করে দেন। তখন তিনি জানেন, তিনি যদি সফরে যেতেন তবে দেশে ফিরে আটক হয়ে যেতেন। ফলে সেনাপ্রধান দেশে থেকে পুরো বিষয়টি আয়ত্তে নিয়ে আসেন এবং লেফট্যানেন্ট জেনারেল কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে একশন নেন। তাকে নাকি নজরবন্দি করা হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রথম থেকে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত এতদিন ধরে চলেছে, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। এখন দেখার, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এইবার কোন দিকে মোড় নেয়।
Discussion about this post