সোমবার শহীদ মিনারে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল ইনকিলাব মঞ্চ। ওই দলের মুখপাত্র ও আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এই সমাবেশ ছিল। যা সর্বদলীয় একটি সমাবেশের আকারে তুলে ধরতে চেয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। তবে সেখানে এনসিপি, জামায়াতে ইসলামী-সহ আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকলেও ছিল না বিএনপির কোনও প্রতিনিধি। যদিও ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ জাবের জানিয়েছেন যে “বিএনপি সরাসরি উপস্থিত না হলেও তাঁরা সব আন্দোলনে সঙ্গে তারা একাত্মতা পোষণ করেছে”। তবুও এরকম একটি জ্বলন্ত ইস্যুতে বিএনপির কোনও নেতা যোগ না দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেন বিএনপি হাদির বিষয়ে দূরত্ব বজায় রাখছে, কেন তাঁরা একটু আলাদা ঘরানার রাজনীতি করছে বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, সেটা নিয়ে চলছে জোরদার কাঁটাছেঁড়া।
এই প্রসঙ্গে আসার আগে একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। আগামী ২৫ ডিসেম্বর অবশেষে দেশে ফিরতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৭ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান। আর তাঁর দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করতে কোনও উদ্যোগ বাকি রাথছে না বিএনপির নেতারা। জানা যাচ্ছে, তাঁকে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। গোটা দেশে থেকেই হাজার হাজার কর্মীকে সেদিন বিমানবন্দরে হাজির করাতে চায় খালেদা জিয়ার দল। এর জন্য কক্সবাজার–ঢাকা, সিলেট–ঢাকা, জামালপুর–ময়মনসিংহ–ঢাকা, টাঙ্গাইল–ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ–রাজশাহী–ঢাকা, পঞ্চগড়–নীলফামারী–পার্বতীপুর–ঢাকা এবং কুড়িগ্রাম–রংপুর–ঢাকা এরকম সাতটি রুটে বিশেষ ট্রেন বা অতিরিক্ত কামরা দেওয়ার আবেদন করেছে বিএনপি। ফলে বিএনপি এখন ব্যস্ত তারিক রহমানকে নিয়ে।
এবার আসা যাক ওসমান হাদির পরিণতির জন্য প্রতিবাদ সভা প্রসঙ্গে। ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই প্রথম সন্দেহের তির গিয়েছিল বিএনপির দিকে। হাদিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে দলটির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস যেভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সেটাও কার্যত দগদগে ক্ষতের মতো রয়ে গিয়েছে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের বুকে। ফলে সোমবার ঢাকার শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সভায় সশরীরে বিএনপির কেউ হাজির হননি বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বিএনপির কয়েকটি সূত্র বলছে, দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ আগাম আঁচ করেছিলেন ওই সভা থেকে বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য আসবে বিভিন্ন বক্তাদের থেকে। বিশেষ করে জামাত ও এনসিপি নেতৃত্বের থেকে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার মতো আসন জেতার আশা করছে দলীয় নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে ভারতের বিরু্দ্ধে অবস্থান নেওয়া উচিৎ হবে না বলেই মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই তাঁরা ওই সভা এড়িয়ে গিয়েছেন।
অন্য একটি সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তাঁদের সমর্থকদের একটা বড় অংশের ভোট বিএনপির ঝুলিতে আসতে পারে বলেই মনে করছেন দলের নেতারা। তাই তাঁরা ভারত ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনও বিরুপ মন্তব্য এড়িয়ে চলছেন। এমনকি তারেক রহমান নিজেই জামায়তে ইসলামীকে আক্রমণ করে দলের নেতাদের সুর বেঁধে দিয়েছেন। কেউ কেউ এমনও মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে তারেকের। এমনকি হাসিনার সঙ্গেও কথা হয়েছে তারেকের। যদিও এই বিষয়ে প্রামান্য কোনও তথ্য নেই। তবে বিএনপি এবং তারেক রহমানের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ ও বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তাঁরা ভারতের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে চলতে চাইছেন।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post