১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান পর্যন্ত সারা দেশ জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সারা দেশ জুড়ে তথা জেলা ও ঢাকাতে সভা-সমাবেশ করবে দলটি। শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্মসূচির কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমাদের একটি প্রতিবাদ করা উচিত। এর পাশাপাশি গোটা দেশ যাতে স্থিতিশীল থাকে সেই কারণে তারা একটি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার অনুগামীরা সরকারের গুরুত্বপুর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে। ৫ই এর গণঅভ্যুত্থান কে মেনে না নেওয়া লোকজনদের চিহ্নিত করা উচিত। না হলে অন্তর্ভুক্তির সরকারের সফল হওয়া অত্যন্ত কঠিন। এই সরকারের ব্যর্থতা গোটা বাংলাদেশের ব্যর্থতা বলে বিবেচিত হবে বিশ্ব দরবারে।
কিন্তু দেশের অভ্যন্তরের সমস্যা নিয়ে বিএনপি যে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তা আদতে ইউনু স সরকারের বিরুদ্ধেই যায়। কারণ সরকারে রয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুস। তাই তার আমলে যদি দেশের অভ্যন্তরে এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়, এবং কোন দল যদি প্রতিবাদ করে তা দেশের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ বলে দেখবে গোটা বিশ্ব।
তার ওপর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সেইভাবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বাধা আসে নি। বহু মানুষের সমর্থনও পাচ্ছে আওয়ামীলীগ। ফলে একদিকে আওয়ামীলীগ আর অন্যদিকে বিএনপি, দুই রাজনৈতিক দলের চাপে পড়েছেন মোহাম্মদ ইউনূস।
তার ওপর সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। তাকে সরিয়ে ফেলার একটা ষড়যন্ত্র তৈরি হচ্ছে দেশের অন্তরে। সেনাবাহিনীতে কয়েকটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। আর সেই ভাবেই কাজ চালানো হচ্ছে। এই বিষয়গুলি অজানা নয় দেশের অন্তবর্তি সরকারের।
এখন দেখার, এই দুই চাপ সামলে কিভাবে উঠেন ইউনুস,!
Discussion about this post