মহম্মদ ইউনূস লন্ডন সফর করে চলে এলেও, সেখানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। অনেকেই বলছেন, বিএনপির ট্র্যাপে কি পা দিয়ে ফেললেন ইউনূস? নাকি ইউনূসের ফাঁদে পরল বিএনপি? এদিকে ছাত্রনেতাদের বা এনসিপির একের পর এক দুর্নীতি এবং তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সামনে আসছে। তারা এতদিন সাধারণ মানুষকে যে মোহের মধ্যে বেঁধে রেখেছিল, সেই মোহভঙ্গ বাংলাদেশের জনগণের।
আওয়ামী লীগের পর বাংলাদেশে আরও একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। যাদের প্রতি সমর্থন রয়েছে বাংলাদেশের বহু মানুষের। কিন্তু তাদের দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি থেকে একাধিক যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি দেশের মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই মনে করেছিল, নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু এখন বোধ হয় তাদের কার্যকলাপে সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখানেই থেমে নেই, এত বিক্ষোভ, মিছিল করে সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার চাপ দিচ্ছিল বিএনপি। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চলে এসেছে একরকম। কেন মিটিং করল সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা।
অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি বিএনপি মহম্মদ ইউনূসের ট্র্যাপে পা দিল? ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে আদেও ভালো করল কিনা বিএনপি! সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি লন্ডনের বৈঠক থেকে ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হতে পারে, একটা সময় ঠিক করা হয়েছিল, সেটা হতে নাও পারে, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এমনকি বিএনপির হাওয়া ভবনের দুর্নীতি নিয়ে ফের আলোচনা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কেন মহম্মদ ইউনূস দৌড়ে লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করলেন? এর কারণ হিসাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মহম্মদ ইউনূসের পায়ের তলায় মাটি নেই। এতদিন ধরে তিনি যে নাম, খ্যাতি,যশ অর্জন করেছেন সেগুলি ধীরে ধীরে মুছতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে দেখা করতে চাননি। এমনকি বিদেশের গণমাধ্যমগুলি মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ছাপছে।
সেই পরিস্থিতিতে তিনি এখন কি করবেন। কারণ তাকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের তার অনেকগুলি ব্যবসা রয়েছে। তাই তিনি খুব ভালো করে জানেন, যদি তার সমর্থনে কিছু না থাকে, তবে কোনওভাবেই তিনি সেগুলি করে উঠতে পারবেন না। এই কারণেই তিনি তারেক রহমানের কাছে ছুটে যান। ওই বৈঠকে গিয়ে তারা একটি সমঝোতায় এসেছে। ইউনূস বোঝেন, যতই বিএনপি’র বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ থাক, পরবর্তীতে তারাই নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারে। সেই সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই বিএনপি’র সঙ্গে দরবার করতে চাইছে ইউনুস। জানা যায়, ওই বৈঠকে তারেক রহমান একটি তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। যে কোন কোন আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব কে জরুরী ভিত্তিতে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। আসলে মহম্মদ ইউনুস বুঝে গিয়েছেন, ছাত্র নেতাদের কোনও অস্তিত্ব আর কিছুদিন পর থাকবে না। কারণ তাদের একাধিক দুর্নীতি সামনে চলে আসছে। এমনকি ncp এর একজন নেতা সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ইউনূস বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করতে উদ্যোগী। আসলে যেনতেন প্রকারে ইউনূস নিজের গদি বাঁচাতে মরিয়া।
Discussion about this post