যত দিন গড়াচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। ৫ই অগাস্টে পুরাতন সরকারের পতন হয়েছে। পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। তারপর গঠিত হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। যে সরকারের মাথায় বসেছে মহম্মুদ ইউনূস। কিন্তু অশান্তি রোখা যায়নি। বরং জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এরইমধ্যে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিনম্য় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ডিবি পুলিস। তারপর থেকে শহরের রাজপথে বিক্ষোভ সনাতনী হিন্দুদের। শুধিমাত্র তাই নয়, সামনে আশছে সে দেশের হিন্দুদের উপর হয়ে চলা অত্যাচার। ভাঙচুর করা হচ্ছে বাড়িঘর। মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। চরম অরাজকতার রাশ যেন কিছুতেই টেনে ধরতে পারছেন না ইউনূস সরকার।
এরমধ্যেই খবর আসছে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া আরও সহজ করে দিয়েছে। যে কারণে মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের। তার কারণ পাকিস্তান থেকে যদি উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল। সেই কারণেই সীমান্তে জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে, সীমান্ত নিয়ে অত্যন্ত কড়াকড়ি ভারত। কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। দিনের আলোতেও রাইফেল হাতে সীমান্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নজরদারি করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দল। মাথার উপর চক্কর কাটছে ড্রোন। কোথাও টুঁ শব্দটা পেলেও ফিরে ফেলছেন সেনারা। এমনকি স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তেপ পথে দেখা যায় না গরুর পাল। সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামের এক যুবক জানান, শীত পড়লেই বহু পাচারকারীদের দেখা যেত সীমান্তের পথে। কিন্তু এখন তা কার্যত নিঃশব্দ।
বেশ কয়েকদিনে সীমান্তের চিত্রটা একেবারে বদলে গিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, দুটো কারণে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়েছে। আর দুই, সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে, পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান, চীনের সমর্থনে দিন দিন আগ্রাসী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। হুমকি আসছে ভারতের দিকে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের ফাঁকা আওয়াজ। ভারতের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করেছে পদ্মাপারের দেশ, তা নিয়ে পস্তাতে হবে ইউনূস সরকারকে। পাশাপাশি হিন্দুদের উপর চলা অত্যাচার নিয়ে হাত গুটি বসে থাকবে না ভারত সরকার। কড়া বিবৃতি এমনতেই প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হচ্ছে। চলছে রাইফেলের মহড়া। ভয়ে কাঁপছে ইউনূস সরকার। এরপর আ্তজার্তিক মহল মনে করছে, যাবতীয় পদক্ষেপ করবে ভারত।
Discussion about this post