চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন একেবারেই মেনে নিতে পারছেনা বাংলাদেশ সরকার। এবার চট্টগ্রাম আদালতে ফের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আরও একটি খুনের মামলা দায়ের করা হল। সোমবার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর আরও চারটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারীর আদেশ দিয়েছে আদালত। যার ফলে তাকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
উল্লেক্ষ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে যে খুনের মামলাটি দায়ের করা হচ্ছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সূত্র বলছে গত বছর নভেম্বর মাসে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে তিনি নিহত হয়ে ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলা করা হয়েছিল এবং এই ঘটনায় চট্টগ্রামপুলিশ অনেককে গ্রেফতারও করেছিলেন। সেই দিনটি ছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন পাওয়া না পাওয়ার নিয়ে আইনি লড়াইয়ের দিন। হিন্দু সন্ন্যাসী তিনি জামিন পাবেন কিনা সেই নিয়ে আদালত চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ধীরে ধীরে। এখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর অনুগামীদের আবার বৈষম্য বিরধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও ইসলামিক সংগঠনগুলির অনুগামীরা যখন আদালত চত্বরের বাইরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেই সময় একটি সংঘর্ষে পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা আদালত চত্বরজুড়ে। সেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে সরকারি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন। বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতিতে এটি খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এখন প্রশ্ন ইসকনের সন্ন্যাসীর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কে কেন এই ধরনের খুনের মামলায় জড়ানো হলো?
সূত্রের খবর শুধুমাত্র একটি খুনের মামলায় নয় আরো বেশ কয়েকটি খুনের মামলার দায়ের করা হতে পারে। ইতিমধ্যে চিনময় কৃষ্ণ দাসের নামে আরো দুই থেকে তিনটি মামলা দায়ের করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন পেশ করেছে পুলিশ। আগামী দিনের সেই মামলাগুলির ভার্চুয়াল শুনানি হবে বলেও জানানো হয়েছে। অর্থাৎ মোটচারটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। যার ফলে তাকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এরপর সম্প্রতি, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া কোতোয়ালি থানার চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে শুনানি শেষে চিন্ময় দাসকে মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম আদালত।
Discussion about this post