গত শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলায় পরিবর্তন যাত্রা উদ্বোধনে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের। যার পাল্টা হিসেবে বাংলাদেশের জামাত নেতা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিধি ভাঙার অভিযোগ তোলেন। আর এই হুঁশিয়ারি ও অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও তিক্ততার দিকে এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
ঝাড়খণ্ডের পরিবর্তন যাত্রার উপস্থিত হয়ে ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”। আর তোকে কেন্দ্র করেই নতুন করে জটিলতা তৈরি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। অমিত শাহর এই মন্তব্যের পরই তাঁর আন্তর্জাতিক বিধি ভাঙার অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামীর এক নেতা। এই জামাত-ই-ইসলামীকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দেগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কারণ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সহযোগী হিসেবে জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পরই মুহাম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার জামাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ভারত। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে এই জামাত নেতারাই সরব হচ্ছেন। এমনকি তদারকি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন যাতে অমিত শাহর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিধি ভাঙার অভিযোগ আনেন।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর যে নির্মম অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠছে তার অধিকাংশই জামাতের কাজ বলে দাবি। আর এই আবহেই ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে হুঙ্কার দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই মন্তব্যের পর বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামীর সম্পাদক তথা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রাক্তন সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে হুঁশিয়ারি বা যে মন্তব্য দিয়েছে তা একেবারেই আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অথবা ভঙ্গ করছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কি পদক্ষেপ থাকবে এই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
Discussion about this post