বাংলাদেশে সেনাপ্রধানকে নিয়ে দেশের অন্দরে চলছে নানা জল্পনা। দেশের বাইরে থেকে কি নিয়ে এলেন তিনি, পাশাপাশি বাংলাদেশে আগামী দিনে ঠিক ঘটতে চলেছে, সেই নিয়েও একাধিক জল্পনা। তবে সেনাবাহিনী নিজেদের ফর্মে ফিরে এসেছে, সেটা লক্ষণীয়। সেটা কি সেনাপ্রধানের নতুন কোনও পরিকল্পনায়?
তবে একটি বিষয় চাউর হয়েছিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেটা অস্বীকার করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে, অনেকে বহু অসত্য খবরকে প্রকাশ করছে। যেগুলির কোনও ভিত্তি নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। তবে এটা ঘটনা, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী অ্যাকশন মুডে। বিভিন্ন জায়গায় তারা অভিযান করছে, অপরাধ দমন করার চেষ্টা করছে।
আসলে বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি একই হয়ে রয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসের দেশে। আর এরমধ্যেই মার্চ ফর খিলাফতের ডাক হিজবুত তাহরীর। ঢাকা দখল করতে চায় এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। আসলে বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। শুক্রবার ঢাকার রাজপথে দেখা গিয়েছে শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে মিছিল করতে। বাংলাদেশ কিভাবে সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এদিন। যদিও এই সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। শুক্রবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যেদিন সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ফিরলেন, সেই দিনই এই ঘটনা লক্ষ্য করা গেল। তবে কি এর মধ্যে দিয়ে হিজবুত তাহেরী বিশেষ কোন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল?
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার আমলে হিজবুত তাহেরী কোনভাবেই বেড়ে উঠতে পারেনি। হাসিনার সরকার তা করতে দেয়নি। কিন্তু এখন গোটা দেশে চলছে নৈরাজ্য। ইউনূসের আমলে গোটা বাংলাদেসে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী গুলি মাথা চারা দিচ্ছে। আর এর সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এই জঙ্গি সংগঠন কে বাড়তে দিয়েছে মোহাম্মদ ইউনূসই। তারা সংগঠন মজবুত করছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তাদের কট্টরপন্থী দল। মৌলবাদীদের বারবার অন্ত যখন ইউনুসের জামানায় হচ্ছে, তখন তাদেরই পুলিশ আটকে আর কি করবে? উঠছে প্রশ্ন। গোটা বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে স্থায়ী সরকার অত্যন্ত প্রয়োজন, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে সেনাপ্রধান সামান্য কিছু বার্তা দিয়ে চুপ করে গেছেন। এখন তিনি সরকারি বিদেশ সফর করে দেশে ফিরেছেন। এরপর কোনও পরিবর্তন আসে কিনা, সেটাই দেখার।
Discussion about this post