বাংলায় একটি প্রবাদ আছে
‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোরল’ বর্তমান বাংলাদেশে ইউনূসের পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ এ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের পর থেকে সে দেশের সিংহাসনে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মোঃ ইউনূস। প্রথমের দিকে নির্বাচনে চরম অনিহা দেখিয়েও চাপের মুখে আসন্ন বাংলাদেশ নির্বাচনে রাজি হলেও দেশের অভ্যন্তরে একের পর এক নির্মম হত্যাকান্ড প্রায় লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সব পরিকল্পনা। এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন করাবে এই ইউনূস? বাংলাদেশ জন্মের পর থেকেই ভারতের সাথে এক সুসম্পর্ক বজায় ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এবং সাবেক শেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছিল। কিন্তু ক্ষমতার সিংহাসনে থাকা ইউনূসের আমলে আজ সেসব অতীত। বর্তমানে বাংলাদেশে বহু ভারতীয় সম্পত্তি মৌলবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছে ইউনূসের রাজত্বে। এর মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে, এবার স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রসঙ্গে আলোচনা চলছে ভারত এবং বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মধ্যে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে ভারতীয় সম্পত্তি রক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। এবং বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারের করা ফোনে দুই দেশের সেনাপ্রধানের সাথে অনেক আলোচনাই হয়েছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে। তবে সেই ফোন আলাপ রয়েছে পুরোটাই গোপনীয়তার সাথে জানা যাচ্ছে যার কোন কিছুই জানেন না প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। অর্থাৎ ইউনুসকে আড়াল রেখেই জেনারেল ওয়াকার ভারতের সেনাপ্রধানকে ফোন করেছিলেন। কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে বর্তমান হাদি মৃত্যু প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছে দিকে দিকে চলছে আগুন এবং আন্দোলনের নামে সরকারি জিনিসপত্র লুটপাট এবং সর্বশেষ সংযোজন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু দিপু দাসের প্রাসমিক অত্যাচারের শিকার হয়ে মৃত্যু এর সবই সেনাপ্রধান ওয়ার্কার যে ভালো চোখে নেয়নি ইউনূসকে গোপন রেখে ভারতকে ফোনে বার্তা তারই প্রমাণ দেয়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ভারতের সেনাপ্রধানের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সে দেশের সেনাপ্রধান কে। এবং ভারতের সেনাপ্রধানের কাছে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান দায়িত্বের সাথে জানায়-যে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন এবং ভারতীয় দূতাবাস সাথে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।জানা যায় ওয়াকার আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশে থাকা সমস্ত ভারতীয় সম্পদ নিরাপদ থাকবে। দেশের অভ্যন্তরে উত্তেজনা বাড়লেও নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রশ্নে ঢাকার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ঘটনাক্রম শুরু হয় ভারত বিরোধী নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী অস্থিরতা। ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ডেইলি স্টার’র অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। অভিযোগ উঠছে, ইউনূস প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার জেরেই পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাংলাদেশে এত কিছু ঘটনা ঘটছে তাও কেন চুপ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস? ভারতের করা এই কড়া প্রশ্নে শুধুমাত্র দিপু খুনে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যাস এইটুকু উত্তরেই দায় সাড়লেন মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি নির্বাচন হবে? কারণ বর্তমান বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি দিকে দিকে আগুন বিক্ষবের উত্তাল এসব দেখেই প্রাসঙ্গিক এই প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহল।ভারত বার বার সেদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের উপর জোর দিয়েছে। ইউনূসের উপর চাপ সৃষ্টি করে স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু, রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দিতেই গভীর ষড়যন্ত্রে প্রেক্ষাপট রচিত করেছে ইউনূসের তত্ত্বাবধানে।বাংলাদেশের মসনদে মহম্মদ ইউনুস আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সমস্যার জন্য ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে সেখানকার জুলাই আন্দোলনের নামে লুণ্ঠনকারী মৌলবাদে বিশ্বাসী ইউনূসের পোষ্যপুত্র নামে পরিচিত হাসনাত সারজিস এবং নবনিযুক্ত গুলি খেয়ে নিহত ওসমান হাদিরা। অন্যদিকে নেত্রকোনা-২ আসনের প্রার্থী গাজি আবদুর রহিম রুহি কড়া সুরে জানান, ওসমান হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনও নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তার সরাসরি অভিযোগের তীড় ভারতের দিকে। আক্রমণের সুরে তিনি জানান-‘ভারতের ষড়যন্ত্রে প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ভাই ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে’। প্রাসঙ্গিকভাবে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা এইসব ভারত বিদ্বেষী আক্রমণে যে ভারত বিরক্ত তা আবারও সেনাপ্রধান ওয়াকারকে সরাসরি জানায় ভারতের সেনাপ্রধান।জেনারেল ওয়াকার কেবল সেনাপ্রধানই নন তিনি শেখ হাসিনার দূর সম্পর্কিত বোন সারানাজ কমলিকা রহমানের স্বামী। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনাকে দেশত্যাগে সহযোগিতার নেপথ্যেও নায়ক ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আল্টিমেটাম দিয়ে জেনারেল ওয়াকার নিজের ক্ষমতা ও অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন। একদিকে হাসিনার দলের পক্ষ থেকে অভ্যুত্থানে সহায়তার অভিযোগ, অন্যদিকে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা-সব মিলিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রে এই জেনারেল ওয়াকার।শেখ হাসিনার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসকে পেছনে ফেলে সম্প্রতি ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে বড় আশ্বাস দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় সম্পদ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।ইউনূস প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির টানাপোড়েনের মধ্যে সেনাপ্রধানের ভারতকে দেওয়া আশ্বাস বাণী আবারও এক অন্য সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। ভারতের সেনাপ্রধানকে ফোনে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের আশ্বাসবানী যে ইউনূসের রাতের ঘুম উড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post